রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২২ জানুয়ারি, ২০২৪ ৪:৫৭ : অপরাহ্ণ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের আসনে জাতীয় পার্টিই বসবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া রাজনৈতিক দলই হবে প্রধান বিরোধী দল। স্বতন্ত্ররা স্বতন্ত্রই থাকবেন।’
আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
একজন সাংবাদিক জানতে চান, সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জিতেছে আর স্বতন্ত্রেরা ৬২ আসনে জিতেছেন। এমন পরিস্থিতিতে সংসদের বিরোধী দল কে হবে?
জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যেরা স্বতন্ত্রই থাকবেন।
তাহলে সংসদে আওয়ামী লীগ ভার্সেস আওয়ামী লীগ হয়ে যাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে সড়ক পরবিহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তারা একটা রাজনৈতিক দল, আওয়ামী লীগ ভার্সেস আওয়ামী লীগ মানে? তাদের পার্টি হচ্ছে জাতীয় পার্টি নট আওয়ামী লীগ। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা স্বতন্ত্র আছে। আর দল যদি বলেন, তাহলে বিরোধী দল তো জাতীয় পার্টি।’
বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সব দলকেই তো মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের দল, তারা তো স্বাধীনতার বিপক্ষে। যে মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করে না, সে স্বাধীনতায়ও বিশ্বাস করে না। কাজেই ওই রকম বিরোধিতা আমরা চাই না।’
বিরোধী দল হিসেবে বিএনপিকে ভবিষ্যতে কী অবস্থানে দেখতে চান—এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) অবস্থান তারা নিজেরাই পরিষ্কার করে দিয়েছে। আন্দোলনে বোঝা গেছে, তারা দুর্বল নাকি শক্তিশালী। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে অংশই নেয়নি, সেখানে তাদের অবস্থান পরিষ্কার। জনগণকে দিয়ে নির্বাচন বর্জন করাবে, সেখানেও তারা ব্যর্থ। তাদের শক্ত কোনো অবস্থান তো দেখতে পাচ্ছি না। দল হিসেবে তারা দুর্বল-এ কথা আমি বলতে চাই না।’
বিএনপি গুজব ছড়াচ্ছে এমন অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গুজব সন্ত্রাস। দেশে-বিদেশে গুজব চালাচ্ছে, তারা বাংলাদেশে সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অথচ বাংলাদেশে তারা এটাকে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি বলে অপপ্রচার করছে। মনে হয় যেন সরকার কচুপাতার ওপর শিশির বিন্দু, একটু টোকা লাগলেই পড়ে যাবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই সরকারের শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ। কথার বোমা মেরে এই সরকারকে উৎখাত করা যাবে না।’