রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৮ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

সংসদ নির্বাচন খুব একটা অংশগ্রহণমূলক হয়নি: সিইসি


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ৯:০২ : অপরাহ্ণ
আজ বিকেলে নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘খুব একটা অংশগ্রহণমূলক’ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেন, ‘একটা বড় রাজনৈতিক অংশ শুধু নির্বাচন বর্জনই নয়, তারা এটিকে প্রতিরোধ করারও ঘোষণা দিয়েছিল। নির্বাচন আয়োজনে আমাদের পথটি কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। সেখানে কণ্টক ছিল, শঙ্কা ছিল। তারপরও সবার সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে নির্বাচন উঠিয়ে আনা হয়েছে। সাময়িকভাবে হলেও জাতি স্বস্তিবোধ করছে, আমরাও স্বস্তিবোধ করছি।’

আজ বৃহস্পতিবার ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে এ ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। এতে চার নির্বাচন কমিশনার বিশেষ অতিথি ছিলেন।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘কোনো নির্বাচনই কিন্তু বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠতে পারে নাই। এবারকার যে নির্বাচনটা নিয়ে খুব সন্তুষ্ট বোধ করছি, হয়তোবা আমরা। আবার বলতে হবে এই নির্বাচনটা বিতর্কের ঊর্ধ্বে যেতে পারেনি। বিতর্কটা আছে কম-বেশি, তবে যেটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, ব্যাপক অনিয়ম ইত্যাদি হবে, যেই জিনিসটাকে উতরে নির্বাচনটাকে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি সফল, গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব হয়েছে।’

নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘আমার ভোট কী আমি দিতে পারবো? ভোট দিলে কী এটা ওখানেই পড়বে, না কি ফিরে এসে এক জায়গায়ই পড়বে। এমন বিভিন্ন ধরনের অবান্তর..কিন্তু আমি অবান্তর বলছি না, তাদের আস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে এই ধরনের অবান্তর যুক্তির অবতারণা করছে। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটি পদ্ধতি অন্বেষণ করা প্রয়োজন।’

জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় জাতি সংকট থেকে রেহাই পেয়েছে জানিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘অনেকেই সুনাম করেছেন, প্রশংসা করেছেন আবার অনেকে অপবাদ বা বদনাম করেছেন। দুটোকেই আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে যেটি মনে করি, নির্বাচনটা সুসম্পন্ন হয়েছে। মহাসুসম্পন্ন বলব না, সুসম্পন্ন হয়েছে। একটা চলমান সংকট যেটাতে শঙ্কা, উদ্বেগ ছিল, সেটা থেকে জাতি উঠে এসেছে। কিন্তু এটা স্থায়ী সমাধান বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে না।’

সিইসি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের যদি আমাদের প্রতি আস্থা না থাকে, আস্থা যদি চরমমাত্রায় চলে যায়, তাহলে নির্বাচন কমিশনেরও গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। কিন্তু রাজনৈতিক সংকট নিরসন আমাদের কাজ নয়।’

টিআইবির প্রতিবেদনের কথা সরাসরি উল্লেখ না করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আজও (বৃহস্পতিবার) যখন পত্রিকায় পড়ছিলাম একটি সংস্থা থেকে বলছে যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অজুহাত নিয়ে নির্বাচন কমিশন সরকারের একটা গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। আমি এখনো জানি না সরকারের সঙ্গে আসলে কোনো গোপন এজেন্ডা আছে কিনা? আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি, আমার সঙ্গে হয়নি। কারও সঙ্গে হয়েছে কিনা আমি জানি না। কোথায় গোপন এজেন্ডাটা হলো? কোন গোপন এজেন্ডাটা আমরা বাস্তবায়ন করেছি? সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অজুহাত কিভাবে নিলাম? তাহলে কি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছিল না?’

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর