রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ১০:১৭ : অপরাহ্ণ
নতুন এমপি ও মন্ত্রিসভার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে রাতের ভোটে যারা এমপি হয়েছিলেন তাদের মেয়াদ এখনো ৫ বছর হয়নি। ওই সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৯ দিন আগে নতুন এমপিদের শপথ পড়ানো হয়েছে। তাহলে আগের ৩০০ এমপির কী হবে? এখন যে আবার ৩০০ এমপি শপথ নিলেন–এটার বৈধতা কোথায়? এখন তো ৬০০ এমপি হয়ে গেলো।’
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন তুলেছেন।
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ‘সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি ভেঙ্গে না দিলে প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৫ বছর অতিক্রান্ত হলে সংসদ ভেঙ্গে যাবে। আগের সংসদ বসেছিল ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি। সেই সংসদের মেয়াদ ৫ বছর অতিক্রান্ত হয়নি। সংসদও ভাঙ্গেনি।’
বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘১০ জানুয়ারি এমপিরা শপথ নিয়ে ১১ তারিখ মন্ত্রিসভা হলো। মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ১০ শতাংশ। অনেকেই নতুন এমপি হিসেবে শপথ নিয়ে মন্ত্রী হলেন। মন্ত্রিসভারই তো কোনো বৈধতা নেই। আমি মনে করি এটি সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। এটি অবৈধ। এর উত্তর চাই।’
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ‘যদি সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি সম্মান থাকে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্যরা ও ৩০০ জন এমপি দ্রুত পদত্যাগ করুন। নতুবা সংবিধান লঙ্ঘন করা হবে। এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এগুলোর জন্য বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।’
বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সংবিধানে পরিষ্কার বলা আছে, ৫ বছর মেয়াদ শেষ হলে সংসদ ভাঙবে। মেয়াদ তো শেষ হয়নি। না ভাঙতেই আবারও ৩০০ জনের শপথ পড়ানো হলো কীভাবে? এর আগে এই প্রশ্নটি এসেছিল। সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, থিওরিক্যালি নিয়েছিল, প্র্যাকটিক্যালি নেয়নি। আমি মনে করি প্রশ্ন থেকে গেল।’
জাতীয় সংসদের স্পিকারকে উদ্দেশ ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ‘স্পিকার আইনের ছাত্র। সংবিধান সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা থাকার কথা। আমি বিশ্বাস করি আছে। ৭২ (৩) কী করবেন আপনি?’