রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৫ জানুয়ারি, ২০২৪ ২:২৬ : অপরাহ্ণ
২২২ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং (টাকা পাচার) মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। এ ছাড়া মামলায় অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি স্থগিত রাখার আবেদনও মঞ্জুর করেন বিচারক।
সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহানাজ পারভীন হীরা স্থায়ী জামিন ও অভিযোগ গঠনের শুনানি স্থগিত চেয়ে পৃথক দুটি আবেদন দাখিলের পর আজ সোমবার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ আদেশ দেন।
বিচারক এই মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ৫ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
রাজধানীতে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার ‘মূল হোতা’ সম্রাট আজকের শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাসিনো কাণ্ডে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাটকে তার সহযোগী এহসানুল হক আরমানসহ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে আটক করে র্যাব। এরপর তার কাছে বিদেশি মদ পাওয়ায় সে সময় তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং বন্য প্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন।
অস্ত্র ও মাদক রাখায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করা হয়।
এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর দুদক ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে জানায়, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। তিনি আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা এনামুল হক আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেন।
ঢাকার বিভিন্ন স্পোর্টিং ক্লাবে র্যাব সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার সন্ধান পাওয়ার পর তিনি আলোচনায় আসেন। আটকের পর তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
গত বছরের ২২ আগস্ট আদালত সম্রাটের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। জামিন পাওয়ার পর কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন সম্রাট। এরপর থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।