আড়াই মাস পর রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে দলটির নেতাকর্মীরা তালা ভেঙে কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। এ সময়ে নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এরপর থেকে ২ মাস ১৩ দিন বন্ধ ছিল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। দ্বাদশ নির্বাচনের তফসিল থেকে শুরু করে ভোট শেষ হলেও এই কার্যালয়টি বন্ধ ছিল। এমনকি বিজয় দিবসসহ জাতীয় দিনগুলোতেও কার্যালয় খোলা হয়নি। এ সময় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়সহ দেশের অন্যান্য স্থানেও দলটির অন্যান্য কার্যালয় বন্ধ ছিল।
আজ নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে দেখা গেছে, পুরো কার্যালয়ে ধুলোবালির স্তূপ জমেছে। বিভিন্ন কক্ষে এলোমেলোভাবে পড়ে আছে চেয়ার টেবিল, কাগজপত্র, পত্রিকা প্রভৃতি।
কার্যালয়ে প্রবেশ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের যুবদলের একজন নেতা ও একজন প্রবীণ সাংবাদিক হত্যার মধ্য দিয়ে এক ভয়াবহ নিপীড়নের তাণ্ডব শুরু হয়। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ পণ্ড করে পুলিশ এক নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। এই দুই মাসের অধিক সময় পুলিশ কাউকে এখানে ঢুকতে দেয়নি এবং আশপাশে ভিড়লেও তাদেরকেও আটক করে নিয়ে গেছে।
এ বিএনপি নেতা বলেন, পুলিশ এই কার্যালয়ের চাবি নিয়ে যায়। কত নাটক করেছে। তারপরে গেইট বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়। সবই গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা দেখেছেন… জানেন। আমরা আমাদের প্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এখন ঢুকেছি। পুলিশের কাছে চাবি চাওয়ার পরেও আমাদেরকে চাবি দেওয়া হয়নি। পরে আমরা তালা ভেঙে এই কার্যালয়ে প্রবেশ করি।
রিজভী বলেন, দেশের একটি নিয়মতান্ত্রিক কার্যকর রাজনৈতিক দল বিএনপি। এই দল বার বার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে অত্যন্ত সুনামের সাথে, দক্ষতার সাথে। সেই দলের প্রধান কার্যালয় একটি মাফিয়া সরকার বন্ধ করে রেখেছে। সুতরাং পুলিশ চাবি না দেওয়াতে তালা ভেঙে আমরা ঢুকেছি।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন হবে। সেখানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও সেলিমা রহমানের কথা রয়েছে। তার আগেই কার্যালয়টিতে ঢুকে পড়লেন দলের নেতাকর্মীরা।