রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২ জানুয়ারি, ২০২৪ ৯:১৫ : পূর্বাহ্ণ
জাপানে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে অন্তত ১৫৫ বার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহতও হয়েছেন আরও অনেকে। ভূমিকম্পে অনেক ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে জাপানের নতো অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার প্রথম ভূমিকম্প আঘাত হানে।
জাপানের মিটিওরোলিজক্যাল এজেন্সি (জেএমএ) জানিয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৬, অপর একটি ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬।
৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর মাত্র ৯০ মিনিটে আরও ২১ বার ভূমিকম্প হয়েছে। অধিকাংশ ভূমিকম্পের মাত্রা চার বা তার ওপরে ছিল।
ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, রাজধানী টোকিও থেকেও এর কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের ১০ মিনিটের মধ্যেই ১২ ফুট উচ্চতার একটি ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে দেশটির ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের ওয়াজিমা বন্দরে।
ভূমিকম্পের শক্তিশালী আঘাতে জাপানের অনেক রাস্তায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ধসে পড়েছে অনেক ভবন। বেশ কয়েকটি শহরে ধসে পড়া কয়েক ডজন ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে মানুষ আটকে থাকার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
ভূমিকম্পের পর পর উপকূলীয় অঞ্চল ইশিকাওয়া, নিগাতা ও তোয়ামায় সুনামি সতর্কতা জারি করে জাপানের আবহাওয়া বিভাগ। এমন সতর্কবার্তার ঘণ্টাখানেক পরই স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ২১ মিনিটে ইশিকাওয়া অঞ্চলের ওয়াজিমা শহরের উপকূলে ৩ দশমিক ৯ ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ে। তবে এখানো ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া তোয়ামা শহর, কাশিওয়াজাকি, কানাজাওয়া বন্দর, টোবিশিমা দ্বীপ, সাদো দ্বীপসহ জাপানের পশ্চিম উপকূলীয় কয়েকটি এলাকায় এক মিটারের কম উচ্চতার সুনামির খবর পাওয়া গেছে।
জাপানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, বড় ধরনের সুনামির ঝুঁকিতে রয়েছে ইশিকাওয়ার নোটো শহর। এই শহরে ৫ মিটার উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।
ভূমিকম্পের পর উপকূলীয় ইশিকাওয়া অঞ্চলে প্রায় ৩৩ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া ভূমিকম্পের সময় বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গ থেকে সৃষ্ট আগুনেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
ভূমিকম্পের পর জাপানের সামরিক বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে। তারা খাদ্য, পানি এবং আশ্রয়ের যাবতীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।