শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা দেশজুড়ে

বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫


আজ বিকেলে বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় পঙ্কজ নাথ ও ডা. শাম্মী আহমেদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত।

রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, বরিশাল প্রকাশের সময় :২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ৭:২৪ : অপরাহ্ণ

বরিশালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থলে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৩ জনকে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির নাম সিরাজ সিকদার (৫৫)। তিনি বরিশালের হিজলা উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা কোব্বাত সিকদারের ছেলে।

সিরাজ সিকদার হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি বলে জানা গেছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আনসার ক্যাম্পের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় জনসভা মঞ্চে উঠছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান তুহিন জানান, সিরাজ সিকদারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথের বিপুলসংখ্যক সমর্থক প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আসেন। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন একই আসনের নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মি আহম্মেদের অনুসারীরা। সমাবেশস্থলের প্রবেশপথে আনসার ক্যাম্পের সামনে দুপক্ষ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বাধে। এতে ঘটনাস্থলেই কৃষক লীগ নেতা সিরাজ সিকদার নিহত হন। এ সময় দুপক্ষের ২৫ জন আহত হন।

এদিকে সিরাজ শিকদারকে নিজের কর্মী বলে দাবি করেছেন পঙ্কজ দেবনাথ এবং ড. শাম্মি দুজনেই।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে তার সঙ্গেই লঞ্চে করে বরিশালে এসেছেন জানিয়ে পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, ‘আমরা সবাই একসঙ্গে এসেছি। জনসভা মাঠে ঢোকার সময় আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। সিরাজ সিকদার শুরু থেকেই আমার কর্মী এবং নির্বাচনে ঈগল প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন।’

হামলার ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমার লোকজন আসবে জেনে সমাবেশে ঢোকার মুখে প্রস্তুতি নিয়েছিল তারা। ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে হামলা চালিয়ে একজনকে হত্যা ও বাকিদের আহত করা হয়।’

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ড. শাম্মি আহম্মেদকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি তিনি রিসিভি করেননি।

শাম্মি আহম্মেদের অনুসারী আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সৈয়দ মুনির বলেন, ‘সিরাজ সিকদার আমাদের কর্মী। হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিপু সুলতানের সঙ্গে তিনি বরিশালে এসেছিলেন। সমাবেশস্থলে ঢোকার মুখে সিরাজ সিকদারসহ আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালানো হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।’

এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভুট্টো মোল্লা বলেন, ‘আমরা মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে ঢুকছিলাম। আগে থেকে অবস্থান নেওয়া শাম্মী অনুসারীরা আমাদের বোতল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তখন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সিরাজসহ ১৫ জনকে আহত করে তারা। এর মধ্যে সিরাজ নিহত হয়েছেন।’

আরও পড়ুন: বিএনপি সন্ত্রাসী দল, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: শেখ হাসিনা

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর