রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ৬:৩৩ : অপরাহ্ণ
২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ‘ভোট ডাকাতি’ করার কথা স্বীকার করেছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ১ নম্বর বড়হাতিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিটন বড়ুয়া রুনা ওই আসনের নৌকার প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর পক্ষে ‘ভোট ডাকাতি’ করার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন।
গত রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দিরপাড়ায় এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী বিজয়ী হন। এবারও তিনি এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। আগের দুই সংসদ নির্বাচনে রিটন বড়ুয়া নেজামউদ্দিন নদভীর পক্ষে কাজ করেন।
তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের পক্ষে কাজ করছেন। আবদুল মোতালেব সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। নির্বাচনে তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
ওই অনুষ্ঠানে রিটন বড়ুয়া নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের এমপির কথা বলছি। আপনাকে আমি একটি কথা বলতে চাই। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমরা ভোট ডাকাতি করেছি। সোজা কথা। আমরা এমনে আসি নাই। ২০১৮ সালেও আমরা ভোট ডাকাতি করেছি। এখন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি কথা বারবার বলেন। আমাদের বহির্বিশ্ব চাপ দিচ্ছে। আমাদের একজনের পায়ে একজন না লেগে সোজা লাইন ধরে ভোট দিতে হবে। এটা বহির্বিশ্বকে দেখাতে হবে।’
বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে রিটন বড়ুয়া একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘২০১৪ সালে আমরা কিছু ভোট নিয়েছি। ২০১৮ সালেও নিয়েছি। কিন্তু নেত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে। আগের মতো নির্বাচন আর হবে না।’
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন