রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, সিলেট প্রকাশের সময় :২১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ৫:৩৯ : অপরাহ্ণ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘নিউইয়র্কে প্রতি ঘণ্টায় মজুরি ১৫ ডলার। তারা যদি বাড়িয়ে ৪৫ ডলার করতে পারে তখন আমরাও তাদের পথ অবলম্বন করবো। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে আমেরিকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার সিলেটে নির্বাচনী প্রচার শুরুর সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। দুপুরে শাহজালাল (র.) মাজার সংলগ্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।
সম্প্রতি আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের (এএএফএ) প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্টিফেন লামারকে চিঠি দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের আট সদস্য বলেছেন, তারা মনে করেন বাংলাদেশের পোশাকশ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি যথেষ্ট নয়।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা একটা কাজ করতে পারে। নিউইয়র্কে প্রতি ঘণ্টায় মজুরি ১৫ ডলার। যদি তারা বাড়িয়ে ৪৫ ডলার করতে পারে ও আদর্শ তৈরি করে, তখন আমরাও তাদের পথ অবলম্বন করব। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে আমেরিকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল মোমেন বলেন, ‘বিএনপি একটি ভুল করেছে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত ছিল। তারা একটি সুযোগ হারিয়েছে এবং গ্রহণযোগ্যতাও হারিয়েছে।’
বিএনপির নেতৃত্বে পরিপক্বতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতির অংশ হতে পারে না। তারা ধ্বংসাত্মক ও হিংসার রাজনীতি শুরু করেছে।’
আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা কোনো সংঘাত চাই না। আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।’
নৌকা বাংলার জনগণের আস্থার প্রতীক দাবি করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘নৌকা উন্নয়নের প্রতীক। তাই আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে জনগণ দলে দলে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী করবে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে সমুন্নত রেখে উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নৌকার কোনো বিকল্প নেই।’