রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ৭:২১ : অপরাহ্ণ
‘অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘনকারী, সেনা রুলস লঙ্ঘনকারী, ক্ষমতা দখলকারী এক জেনারেলের পকেট থেকে যে দল তৈরি হয়েছে, সেই দল ভোটের কি বোঝে? তারা গণতন্ত্রের মানে বোঝে?’-এমন প্রশ্ন রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পাঁচ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে শেখ হাসিনা রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট জেলা, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাচনী জনসভায় তিনি বক্তব্য দেন।
বিএনপির নির্বাচনে না আসার কারণ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোট চুরির সুযোগ নেই বলে বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। ২০০৮ সালে পারে নাই, তাই এখন ভোট বাতিল করতে চাই, বর্জন করতে চাই। সেটা তাদের ইচ্ছা, যার যার দলের ইচ্ছা। আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি, জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। জনগণের ক্ষমতায়ন আমরাই নিশ্চিত করেছি।’
আওয়ামী লীগ সবসময় ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করেছিল। বিএনপির সবকিছুই অবৈধ।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচন। জনগণ ভোট দেবে, ভোটের মালিক জনগণ। এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার, আমরা এটা উন্মুক্ত করেছি। আমাদের নৌকার প্রার্থী আছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীও আছে, অন্যান্য দলও আছে। প্রত্যেকে জনগণের কাছে যাবেন, জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই নির্বাচিত হবে।’
দলের প্রার্থীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। এখানে কোনো রকম সংঘাত-সহিংসতা আমি দেখতে চাই না। কোনো সংঘাত হলে, দলের কেউ যদি করে তাদেরও রেহাই নেই! যথাযথ ব্যবস্থা নেব, সেটা মনে রাখবেন।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা চাই জনগণ তার ভোটের অধিকার নির্বিঘ্নে প্রয়োগ করবে। তারা যাকে খুশি তাকে পছন্দ করবে, তাকে ভোট দেবে, সেই জয়ী হয়ে আসবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় আমাদের করতে হবে। এর যদি ব্যত্যয় ঘটে, ভবিষ্যতে কী হবে? বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাবে! বাংলাদেশে অনেক উন্নতি করেছি, তা থাকবে না।’