রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৮ নভেম্বর, ২০২৩ ৯:২২ : অপরাহ্ণ
সামনের দিনগুলো খুব খারাপ উল্লেখ করে ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘যেভাবে আনন্দ উৎসব হচ্ছে, উচ্ছ্বাস হচ্ছে, এতো সুখময় সময় যাবে না। যখন অর্থনৈতিক স্যাংশন আসা শুরু হবে, ভিসানীতি প্রয়োগ করা শুরু হবে, তখন বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাংলাদেশের রাজনীতি কী দাঁড়াবে সেটা দেখার বিষয়। তখন জোটের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা আমরা ভালো করে বুঝবো!’
সোমবার জোটের মনোনয়ন না পেয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় বেসরকারি এক টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘জোটের সঙ্গী তাদের (আওয়ামী লীগ) লাগবে। আজ হোক, কাল হোক, পরশু হোক লাগবে। জনগণের সঙ্গী যদি বলেন, জনগণের অংশ আমরা, জনগণের অগ্রবর্তী অংশ আমরা। সুতরাং সেই হিসেবে তাদের জোটের সঙ্গী লাগবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সবসময় সোচ্চার ছিলেন জানিয়ে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই যদি করে থাকি আমরাই করেছি, পার্লামেন্টে আমিই বলেছি। পার্লামেন্টের বাইরেও আমরা বিএনপি রুখো, আমেরিকা রুখো, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস—আমরাই বলেছি। সুতরাং আওয়ামী লীগ এককভাবে (নির্বাচন) করবে বলে মনে হয় না। কারণ তাদের দলের মধ্যেই এই ব্যাপার নিয়ে ঐক্যবদ্ধতা নেই।’
সব আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা প্রসঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ বেশি। যদি বেশি ক্যান্ডিডেট হয় তাহলে ভালো। খারাপ না। বেশি ক্যান্ডিডেট হলে সেন্টারগুলো পাহারা দেওয়া যায়। সবাই তখন নজর রাখে আরকি। আর বেশি ক্যান্ডিডেট না হলে একটু অসুবিধা হয়। চ্যালেঞ্জ তো হবেই। ইলেকশন ইজ এ চ্যালেঞ্জ।’
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি নিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আমাদের ইলেকশন কমিশন তো বলেছে, তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। কিন্তু এখনো যেগুলো শুনছি কথা-বার্তা, সেগুলো খুব ভালো কথা-বার্তা শুনছি না বাইরে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে অস্বস্তি আছে। কারণ তারা একেক সময় একেক কথা বলে। তাদের একেক কমিশনার একেক কথা বলছেন।’
মিছিল-স্লোগান প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান নিয়ে এই ১৪ দলীয় নেতা বলেন, ‘নির্বাচন প্রচারের ক্ষেত্রে যখন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হয়ে যায়, তখন তো আর দলের প্রতীক নিয়ে স্লোগান দিয়ে কেউ নামতে পারে না। কিন্তু এখন তো হরদমই স্লোগান হচ্ছে। এটা কীভাবে বৈধতা দেয় আমি এটা বুঝতে পারি না। এটা তার জন্য খুব একটা সমীচীন হয়েছে বলে মনে করি না। এমনিতেই সিইসি সমালোচনার পাত্র হয়ে আছেন। আরও সমালোচনার পাত্র হবেন।’