শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২০ মহর্‌রম, ১৪৪৬

মূলপাতা খেলা

ভারতকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া


স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৯ নভেম্বর, ২০২৩ ১০:০১ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

মঞ্চটা প্রস্তুত করেই নেমেছিল ভারত। ক্রিকেটের দিক থেকে ধারণক্ষমতায় সর্বোচ্চ স্টেডিয়ামে শিরোপা উদযাপন করবে তারা। সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন ভারতের দর্শক-সমর্থকেরাও। কিন্তু ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার আহমেদাবাদে বিপরীত চিত্র দেখলো ভারত।

১২ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের যে স্বপ্ন দেখছিল ভারত তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। জোড়া হার দিয়ে এবারের আসর শুরু করা অস্ট্রেলিয়া অপরাজিত থাকা স্বাগতিক ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠ শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে। ৮ বছর পর আবারও সোনালি ট্রফিতে চুমু দিলো তারা।

আজ রোববার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভার শেষে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ভারতীয় ব্যাটাররা জমা করেন ২৪০ রান। জবাবে ৪৩ ওভারের শেষ বলে চার উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান করে অস্ট্রেলিয়া।

রান তাড়ার শুরুতে অবশ্য চাপেই পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা।

দলীয় ৫০ রান হওয়ার আগেই হারান আরও ২ উইকেট। এবার জোড়া আঘাতটা দেন জাসপ্রীত বুমরা। ৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট নেন তিনি। মিচেল মার্শের পর স্টিভেন স্মিথকে ফেরান ভারতীয় পেসার।

৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন ব্যাকফুটে অস্ট্রেলিয়া। তবে পুরো ম্যাচে ভারতীয়দের পাওয়া এতটুকুই বাকি পুরো সময় জুড়েই ছিল হলুদ উৎসব।

চতুর্থ উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটিতেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন ট্রাভিস হেড–মারনাস লাবুশান। তাদের মধ্যকার দুর্দান্ত ১৯২ রানের জুটি অস্ট্রেলিয়াকে শুধু ঘুরে দাঁড়াতেই সহায়তা করেননি, ভারতের কাছ থেকে ম্যাচ বেরও করে নিয়ে গেছেন দুজনে।

দ্রুত ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ায় লাবুশানে ধীরে সুস্থে খেলতে থাকলেও নিজের আক্রমণাত্মক স্টাইলেই রান করেছেন হেড। সপ্তম ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

দলের জয় যখন নিশ্চিত ঠিক তখনই আউট হয়েছেন হেড। ২ রান বাঁকি থাকতে ১৩৭ রানে আউট হয়েছেন তিনি। ১২০ বলের দুর্দান্ত ইনিংসটি ৪ ছক্কা ও ১৫ চারে সাজিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই জয় নিশ্চিত করেন। তার ২ রানের বিপরীতে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন লাবুশানে।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৬ বলে স্কোর বোর্ডে ৩০ রান জমা করেই সাজঘরে ফেরেন শুভমান গিল। তিনি মিচেল স্টার্কের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৭ বলে মাত্র ৪ রানে ফেরেন।

এরপর সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে ৩২ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়েন তারকা ওপেনার রোহিত শর্মা। দলীয় ৭৬ রানে ৩১ বলে চারটি চার আর তিন ছক্কায় ৪৭ রান করে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত। চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৩ বলে ৪ রানে আউট হন শ্রেয়াস আইয়ার।

ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১০.২ ওভারে ৮১ রানে শুভমান গিল, রোহিত শর্মা ও শ্রেয়াস আইয়ারের উইকেট হারিয়েছে কঠিন চাপের মধ্যে পড়ে যায় ভারত।

দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও তারকা ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুল। চতুর্থ উইকেটে লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ১০৯ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন বিরাট কোহলি। ২৮.৩ ওভারে দলীয় ১৪৮ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ৬৩ বলে চার বাউন্ডারিতে ৫৪ রান করেন কোহলি।

কোহলি আউট হওয়ার পর ফিফটি তুলে নিয়ে ফেরেন লোকেশ রাহুল। তিনি ১০৭ বলে মাত্র এক চারে ৬৬ রান করে দলীয় ২০৩ রানে ফেরেন। রাহুল আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ৯ রানে ফেরেন রবিন্দ্র জাদেজা।

ইনিংসের শেষদিকে ১০ বলে ৬ রানে ফেরেন পেসার মোহাম্মদ শামি। ৩ বলে ১ রানে ফেরেন আরেক পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। ২৮ বলে ১৮ রান করে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন সুরাইয়া কুমার যাদব। ১০ রানে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রানআউট হন কুলদীপ যাদব। ৯ রানে অপরাজিত থাকেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১০ ওভারে ৫৫ রানে ৩ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। ১০ ওভারে ৩৪ রানে ২ উইকেট নেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ১০ ওভারে ৬০ রানে ২ উইকেট নেন জশ হ্যাজলউড।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর