রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৪ নভেম্বর, ২০২৩ ৬:৩১ : অপরাহ্ণ
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই সরকারের। তবে কার সঙ্গে সংলাপ হবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী?
জবাবে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের সংলাপে আপত্তি নেই। আমরা গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চাই না। গণতন্ত্র সমুন্নত করতে যা যা করা দরকার আমরা তাই করব। সেখানে যদি সংলাপের প্রয়োজন হয় আমরা সেটা করব। কিন্তু কার সঙ্গে করব, সেটা বিবেচনার বিষয় আছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ রকম পরামর্শ বহুত আসে। আসুক। আমরা দেখি। পরামর্শ যেগুলো আসে সেগুলো প্রয়োগ করা যায় কি না তা দেখতে হয়। বাস্তবতা দেখতে হবে। ডিএসের (ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন) ক্ষেত্রে বিদেশিরা বলেছে, আমরা ওটা গ্রহণ করেছি। আমরা খুব বাস্তবসম্মত দেশ। খুব বাস্তববাদী সরকার। মানুষের কোনো সত্যিকারের অভিযোগ থাকলে সেটা আমরা গ্রহণ করার চেষ্টা করি।’
বন্ধু দেশগুলো কোনো ভালো পরামর্শ দিলে সরকার সেটাকে আমলে নেয় জানিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যার যার মতামত তারা দিচ্ছেন। আমরা এটা মাইন্ড করছি না।’
দেশের তিন রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সমঝোতার উদ্যোগ নিলো কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা ওদের জিজ্ঞেস করেন। তারা কী কারণে করেছে তাদের জিজ্ঞেস করেন। তারা ভালো উত্তর দিতে পারবেন। আওয়ামী লীগ দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে চাই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে আ.লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে ডোনাল্ড লু’র চিঠি
সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ভলকার টুর্কের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ওনাকে বলেন ওনার দেশে বন্দিকে, অপরাধীকে; দণ্ডিত অপরাধীকে অন্য দেশে পাঠায় কি না?’