রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৪ নভেম্বর, ২০২৩ ৬:০৫ : অপরাহ্ণ
তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ‘কারখানা ভেঙে, সেখানে অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করে দেশের ক্ষতি করলে নিজেরই ক্ষতি হবে। আর কারখানা বন্ধ করলে গ্রামে ফিরে যেতে হবে।’
কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনের উস্কানিতে কারা, তা আমরা জানি। তারা দেশে বিদেশে যেখানেই থাকুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আজ শনিবার রাজধানীর আরামবাগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঢাকা বিভাগীয় এই সমাবেশের আয়োজন করে।
শ্রমিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মজুরি কমিশন বসেছে। ধৈর্য ধরতে হবে। যে কারখানা আপনাদের রুটি-রুজি দেয়, শ্রম দিয়ে পয়সা কামাই করেন, সেই কারখানা ভাঙচুর করলে আল্লাহও নারাজ হবে। আপনাদের যা প্রয়োজন হয়, অসুবিধা আমরা দেখি।’
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জ্বালাও-পোড়াও এটাই বিএনপির উৎসব, এটাই তাদের চরিত্র। তাদের আন্দোলন হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ খুন করা, ধ্বংস করা, পুলিশের ওপর হামলা করা। কীভাবে এটা বন্ধ করতে হয় সেটা আমাদের জানা আছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি মানেই ধ্বংসের রাজনীতি। ২৮ অক্টোবর পুলিশ যথেষ্ট সহনশীলতা দেখিয়েছে। অথচ তারা কী করলো? রাস্তায় পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করলো, আওয়ামী লীগ ও মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করলো। এটাই কি রাজনীতি?’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আমি নাকি প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা দলের প্রধানও হতে পারব না। আজ কে, কোথায় আছে? আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর।’
ঢাকাবাসীর উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট পেয়েছি বলেই আজকে এতো উন্নতি হচ্ছে। সেই কথাটা যেন তারা মনে রাখে। সেটা মনে রেখেই, আগামী নির্বাচনের তফসিল যেকোনো সময় ঘোষণা হবে। আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে, যাকেই প্রার্থী করি সেটা কানা, খোঁড়া যে-ই হোক তাদের নৌকায় মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। করবেন কিনা হাত তুলে ওয়াদা করেন।’
এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা হাত নেড়ে সমর্থন জানান। শেখ হাসিনা তখন বলেন, ‘এবারও নৌকা জিতবে।’