রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আইন-আদালত

হলি আর্টিজানে হামলা: ৭ আসামির সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড



রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩০ অক্টোবর, ২০২৩ ১২:৪৩ : অপরাহ্ণ

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় করা মামলায় ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন-জাহাঙ্গীর হোসেন, আসলাম হোসেন, মো. হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মো. আবদুল সবুর খান, শরিফুল ইসলাম খালেক ও মামুনুর রশীদ রিপন। তারা এখন কারাগারের কনডেম সেলে আছেন।

রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘এই মামলাটি দীর্ঘ শুনানি হয়েছে। উভয়পক্ষের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। আমি আশা করি, এ মামলায় বিচারিক আদালত যে রায় দিয়েছে, সেই রায় বহাল থাকবে।’

এর আগে এ মামলায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান একজনকে খালাস দিয়ে সাতজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী তা পাঠানো হয় হাইকোর্টে। অন্যদিকে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পান আসামিরা।

আজ হাইকোর্টের রায়ের পর সংক্ষুব্ধ পক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। আপিল নিষ্পত্তির পর রিভিউ আবেদন করার সুযোগ পাবেন সংক্ষুব্ধরা।

রিভিউতেও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে আসামি চাইলে সবশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন না করলে বা সেই আবেদন নাকচ হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে সরকার।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালানো হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, হামলাকারীরা নব্য জেএমবির সদস্য। ওই হামলায় দেশি-বিদেশি ২০ নাগরিক, দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২২ জন নিহত হন।

এ ঘটনায় রাজধানীর গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। মামলায় ১১৩ জনকে সাক্ষী করা হয়।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর