রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ২:৪৯ : অপরাহ্ণ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তলে তলে আসলে কিছুই হয়নি, সেই কারণে আওয়ামী লীগ বারবার এই কথাটা বলে।’
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে প্রতীকী গণঅনশন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে সকাল ১১টায় এই গণঅনশন শুরু হয়। দুপুর ২টার দিকে তা শেষ হয়।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী মির্জা ফখরুলকে জুস খাইয়ে অনশন ভাঙান।
ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বলতে তারা (আওয়ামী লীগ) খুব আনন্দ পায়। সেটাকে আবার পরে বলে রাজনৈতিক রসবোধ! তলে তলে নাকি সব হয়ে গেছে। বারবার এ কথাটা কেন বলে? এ জন্যই বলে, আসলে কিছুই হয়নি। গোটা বিশ্বের গণতান্ত্রিক বিশ্ব আজকে তাদের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার জন্য পরিষ্কার করে বলছে এবং একটি সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন করতে বলছে।’
আরও পড়ুন: পাবলিক খায়, তাই ‘তলে তলে’ বলেছি: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়। এদেরকে সরকার বলা যায় না, এরা শাসক। তার প্রমাণ এদের কথার মধ্যে দেখবেন; বিএনপি একটি দল, যে দলটি সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। তিন বার ক্ষমতায় ছিল। তারা (সরকার) ঘোষণা দেয়, বিএনপি আমাদের শত্রু। অর্থাৎ তারা গণতন্ত্রেই বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে কোনো রাজনৈতিক দলকে তারা শত্রু বলতে পারে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা যে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না এ কথা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। আইনের শাসনেও বিশ্বাস করে না তারা। গতকাল নরসিংদীর দুই ছাত্রনেতাকে কমান্ডো কায়দায়, সম্পূর্ণ আইন-কানুনকে না মেনে ভঙ্গ করে তারা গ্রেপ্তার করেছে।’
খালেদা জিয়ার মুক্তি আর গণতন্ত্রের মুক্তি একই উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে সামনের দিনগুলোতে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সামনে পূজা আছে, আমরা সব সময় বলেছি, আমরা সম্পূর্ণভাবে শান্তিপূর্ণ অসাম্প্রায়িদক ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি। আমরা চাই না, ওই আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে তারা আবার সেই সমস্যার তৈরি করবে। ইতোমধ্যে করেছে দেখেছেন। গতকাল কুমিল্লাতে তারা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে, তারপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বাধা দিয়ে তাদের আহত করেছে। সেখানকার এমপি কী বলেছে আপনারা জানেন।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মিছিলে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা