বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানে একের পর এক ভূমিকম্প, ৩২০ জনের মৃত্যু


আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশের জিন্দা জান জেলায় ধ্বংসস্তূপে বসে আছেন দুই প্রবীণ ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৮ অক্টোবর, ২০২৩ ৯:৪৮ : পূর্বাহ্ণ

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে একের পর এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। সবশেষ জাতিসংঘ জানিয়েছে, ৩২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় তালেবান কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি।

তালেবান কর্মকর্তা বলেন, নিহতদের সংখ্যা অনেক। এখনও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে। আমরা মানুষকে সাহায্য করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। কিন্তু আমাদের সাহায্যের প্রয়োজন হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে উল্লেখযোগ্য হতাহতের সম্ভাবনা রয়েছে। দুর্যোগটি ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে।

ইউএসজিএস ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি মানচিত্রে আফগানিস্তান অঞ্চলে সাতটি ভূমিকম্পের কথা জানানো হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে হেরাত থেকে ২১.৭ মাইল উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প, জিন্দাজান থেকে ২০.৫ মাইল উত্তর-উত্তর-পূর্বে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প এবং হেরাত শহর থেকে প্রায় ২৬ মাইল পশ্চিমে জিন্দাজানের ১৮ মাইল উত্তর-উত্তর-পূর্বে আরেকটি ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে।

হেরাত প্রদেশে ভূমিকম্পের ফুটেজে দেখা গেছে, গ্রামগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। লোকজন তাদের মৃত প্রিয়জনদের ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনছে।

জিন্দাহ জান জেলার বাসিন্দা দাউদ হেরাত থেকে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কয়েক ডজন গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। শত শত মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে। আমি আমার ৯ জন আত্মীয়ের লাশ হেরাতে নিয়ে গিয়েছি। বহু গ্রামের রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দাউদ আরও বলেন, আমি আপনাদের বলতে পারি, আমার আত্মীয়দের গ্রামে মাত্র ৫০ জন বেঁচে আছেন। আজ সকাল পর্যন্ত সেখানে ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ বসবাস করছিল। এখানে একটা বিপর্যয় ঘটছে।

এর আগে ২০২২ সালের জুনে পূর্ব আফগানিস্তানের একটি দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যার ফলে পাথর এবং কাদা-ইটের ঘরগুলো সমতলে মিশে যায়। গত দুই দশকের মধ্যে আফগানিস্তানে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ওই ভূমিকম্পে অন্তত ১ হাজার মানুষ নিহত ও প্রায় দেড় হাজার মানুষ আহত হয়।

দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্পের দুর্যোগ সৃষ্টি হয়। বিশেষত হিন্দুকুশ পর্বতমালায়, যা ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের নিকটে অবস্থিত।

২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে বৈদেশিক সহায়তা ব্যাপকভাবে প্রত্যাহারের কারণে দেশটি ইতিমধ্যে একটি ভয়াবহ মানবিক সংকটের কবলে পড়ে আছে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর