রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৫ অক্টোবর, ২০২৩ ৬:১৪ : অপরাহ্ণ
‘তলে তলে আপস হয়ে গেছে’-এমন বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় থাকা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবার তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ‘পাবলিক খায়’ বলেই বক্তব্যের সময় তিনি ‘তলে তলে’, ‘খেলা হবে’ এমন শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেন।
তিনি বলেন, ‘এই কথা আমি ভুল বলিনি।। কারণ, এক সপ্তাহ আগেও মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের খবর কেউ জানতো না।’
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দেশে গুজব এবং অপপ্রচারের জন্য বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আমাদের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক অবনতির দিকে। আমাদের সম্পর্ক খারাপ। এ ধরনের একটি গুজব এবং অপপ্রচার ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। সম্পর্ক খারাপের বিষয়টি আমাদের দেশে সার্বিক অবস্থা রাজনীতিতে এ মুহূর্তে কাম্য নয়। আমি কথাটা যা বলেছি সেটি কি আপনারা অনুধাবন করছেন না?’
গত মঙ্গলবার রাজধানীর সাভারের আমিনবাজারের এক সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘তলে তলে আপস হয়ে গেছে। আমেরিকার দিল্লিকে দরকার। দিল্লি আছে, আমরাও আছি। শেখ হাসিনা সবার সঙ্গে ভারসাম্য করে ফেলেছেন। আর কোনো চিন্তা নেই। যথাসময়ে নির্বাচন হবে।’
আরও পড়ুন: আপস হয়ে গেছে, দিল্লি আছে আমরা আছি: ওবায়দুল কাদের
এ ব্যক্তব্যের ব্যাখ্যায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার কন্যা যে সেলফি তুলেছেন, তখনও তো কিছু কথা হয়েছে। সেটা তো এখন বলাবলি হচ্ছে। তখনও তো কিছু কথা হয়েছে। এটা তো আর প্রকাশ্যে হয়নি। এটা কোনো কাগজেও আসেনি, মিডিয়ায়ও আসেনি। সুতরাং তলে তলে আপস মানে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন বা আমাদের সম্পর্ক ভালো আছে। আমি সেটা বোঝাতে চেয়েছি।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে আপনারা সম্পর্ক ভালো রাখছেন বলছেন। সেক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছেন কি-না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে দূরত্ব তো নেই। আমাদের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে চীনের ভূমিকা আছে। সেটা আমরা বাইপাস করতে পারবো না। তাদের সাহায্য আমরা নিচ্ছি। বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হবে, এটি জিটুজি প্রকল্প। তাদের সরকারের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। আমরা কারো সঙ্গে শত্রুতা চাই না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, এটিই আমাদের নীতি।’
আরও পড়ুন: দিল্লি কি বলে দিয়েছে জোর করে নির্বাচন করতে?