রবিবার, ৫ মে, ২০২৪ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা আইন-আদালত

এবার দুদকের মামলায় ড. ইউনূসকে তলব


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩ অক্টোবর, ২০২৩ ৩:২৩ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামী ৫ অক্টোবর সশরীরে দুদকে হাজির হতে বলেছে ড. ইউনূকে।

দুদকের একটি সূত্র জানায়, দুদকের দায়েরকৃত মামলায় ড. ইউনূসকে আগামী ৫ অক্টোবর স্বশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তাই নয়, আইএলওতে দেওয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চায় সংস্থাটি।

গত ৩০মে গ্রামীণ টেলিকম থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার।

ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের ৭ জনকে তলব করেছে। ড. ইউনূসকে ৫ অক্টোবর ডেকেছে।

ড. ইউনূস ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম (৫০), সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান (৬৩), পরিচালক পারভীন মাহমুদ (৬২), নাজনীন সুলতানা (৬১), মো. শাহজাহান (৬৫), নূরজাহান বেগম (৭২), এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী (৬২), অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী (৪২), অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ (৪৭), গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান (৩৯), সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান (৪৩), গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম (৪০)।

দুদকের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গ্রামীণ টেলিকমের ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (WPPF) অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে দুদকের কাছে অভিযোগ করা হয়। পরে দুদক আইন ও বিধি মোতাবেক অনুসন্ধান করে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানসহ বোর্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে পরস্পর যোগসাজশে’ ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের সত্যতা পায়। এতে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২-এর ৪(২)(৩) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি করা হয়।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর