রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ৭:৩৫ : অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র চিরতরে চলে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে এদেশের মহিলা, শিশুসহ কোনো মানুষের নিরাপত্তা থাকবে না। দেশের স্বাধীনতা থাকবে না, সার্বভৌমত্ব থাকবে না।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে এই সমাবেশ হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে সমগ্র দেশ বিপদগ্রস্ত, গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ, তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এত বেশি অহংকারী হয়ে উঠেছেন, এত বেশি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছেন যে তিনি দেশের মানুষের কথা চিন্তা করছেন না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যখন সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো বলছে যে আমরা একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই, তখন সেটাকে তিনি উড়িয়ে দিয়ে এককভাবে আবার সেই পুরোনো কথা-সংবিধানের অধীনে নির্বাচনের কথা বলছেন।’
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না। কারণ, আপনারা (সরকার) ক্ষমতায় থাকলে সেই নির্বাচন কোনো দিনও অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় গৃহবন্দী রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর একটিমাত্র কারণ, তারা (সরকার) জানে যে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যদি বাইরে থাকেন, তাহলে জনগণের স্রোতকে তারা বন্ধ করতে পারবে না। তাদের ক্ষমতায় থাকা কঠিন হয়ে যাবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে আমরা খুব পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, সর্বপ্রথম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে হবে। আমরা আশা করি সরকার তাঁর বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেবে।’
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান।
উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।