রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা বিএনপি

আ.লীগ আগের মতো সাজানো নির্বাচন করতে চায়: ফখরুল


মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পুরনো ছবি

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ৭:০৯ : অপরাহ্ণ

আওয়ামী লীগ আগের মতো সাজানো নির্বাচন করতে চায় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তারা আবারও আগের মতো নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু জনগণ তা হতে দেবে না। জেলে নিয়েও মানুষকে দমাতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে কয়টি নির্বাচন হয়েছে তা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। কিন্তু ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই আওয়ামী লীগ তা বাতিল করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশিরাও বলছে, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।’

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুর পলওয়ে মার্কেট সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা ও খালেদা জিয়াসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা রাস্তায় নেমেছি, আমরা পদযাত্রা করছি, রোডমার্চ করছি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে আছি। কথা পরিষ্কার, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশ যখন সুষ্ঠু নির্বাচন চাচ্ছে নির্দলীয় সরকারের অধীনে, তখন সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে যাচ্ছে। কিসের সংবিধান, যেটা তোমরা কাটাছেঁড়া করে শেষ করে দিয়েছো।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পর্যবেক্ষক না পাঠানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে কথা বলা হয়েছে তার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বলেছে, বাজেট ঘাটতির জন্য ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠাবে না, এটা সঠিক নয়। তারা (ইইউ) পরিষ্কার করে বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, পরিবেশ নেই।’

আরও পড়ুন: নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন

আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সারাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায়। আমাদের মা-বোনেরা জেগেছে, তারা এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চান না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের পরাজিত করতে হবে। তার পর নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে জনগণের সরকার গঠন করতে হবে।’

সরকারকে হুঁশিয়ার করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিষ্কার করে শেষ কথা বলতে চাই, দয়া করে পদত্যাগ করুন। অনেক নিপীড়ন হয়েছে। নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। যদি কথা শোনে ভালো, না হলে ফয়সালা হবে রাজপথে।’

খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে দুই দফার সিসিইউতে নেয়া হলো। তিনি অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ। এই সরকারের বিচার বিভাগ মিথ্যা মামলায় ৫ বছর আগে তাকে কারারুদ্ধ করেছেন। এরপরে তাকে গৃহ অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। আর শর্ত দিয়েছেন চিকিৎসার জন্য তিনি বাইরে যেতে পারবেন না। চিকিৎসা ব্যাপারটা একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। কারাগারে থাকলেও সব বন্দিকে চিকিৎসা দিতে হবে। সেই চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন হলে তাকে বিদেশেও পাঠাতে হবে।’

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি, আবারও সিসিইউতে স্থানান্তর

খালেদা জিয়াকে সরকার মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার যদি সুচিকিৎসা না হয়, তাকে যদি চিকিৎসার জন্য বিদেশে না পাঠানো তাহলে যেকোন দুর্ঘটনার জন্য এই সরকার দায়ী থাকবে এবং তাদের জবাব দিতে হবে।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর