রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ৯:৫১ : পূর্বাহ্ণ
বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম ক্রমান্বয়ে কমলেও দেশের বাজারে এর ছিটেফোঁটাও প্রভাব নেই। বরং উল্টো কোনো কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল হওয়ায় কিছুদিন আগেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কায় মূল্যস্ফীতি আকাশ ছুঁয়েছিল। কিন্তু অল্প দিনের ব্যবধানে দেশটিতে আর সেই অবস্থা নেই।
শ্রীলঙ্কায় মূল্যস্ফীতি এখন বাংলাদেশের অর্ধেক। দুই বছরের ব্যবধানে দেশটির অনেক খাদ্যের দামও বাংলাদেশের চেয়ে কমেছে।
শ্রীলঙ্কায় চিনি, সয়াবিন তেল, পিয়াজ, মরিচ, রসুনসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম।
শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪৫ টাকায় (এক টাকা সমান দশমিক ৩৪ শ্রীলঙ্কান রুপি ধরে)।
অন্যদিকে বাংলাদেশে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। অর্থাৎ বাংলাদেশের চেয়ে শ্রীলঙ্কায় তিন গুণ কমে চিনি বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের চেয়ে অর্ধেক দামে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে।
এগ্রিকালচার কোম্পানি সেলিনা ওয়ামুচির তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে খুচরায় প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। আর বাংলাদেশে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল এখনো বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায়।
বাংলাদেশে আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি হওয়া আদা শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর বাংলাদেশে প্রতি কেজি আদার দাম ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। বাংলাদেশের চেয়ে কয়েক গুণ কম দামে শ্রীলঙ্কার বাজারে আদা বিক্রি হচ্ছে।
ফলের দামও শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশে বেশি। শ্রীলঙ্কায় প্রতি কেজি আপেল ও কমলা বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৫ থেকে ১০০ টাকায়।
অথচ রাজধানীতে ৩০০ টাকার নিচে কোনো বিদেশি ফল পাওয়া যাচ্ছে না। অধিকাংশ ফলের দামই ৩৫০ টাকার উপরে।
প্রতি কেজি মাল্টা ৩৮০, কমলা ৩৫০, ছোট কমলা ৩২০, গ্রিন আপেল ৪০০, গালা আপেল ৩৫০, সুজি আপেল ৩৩০ টাকা এবং আনার (ডালিম) ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।