রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১০ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা আওয়ামী লীগ

‘ছাত্রলীগ চাইলে শাহবাগ থানা এতোক্ষণ আস্ত থাকতো না’


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১১:৩১ : পূর্বাহ্ণ
এডিসি হারুন অর রশিদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।
Rajnitisangbad Facebook Page

রাজধানীর শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় পুলিশকে একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। তিনি বলেছেন, ছাত্রলীগ মারামারি করতে চাইলে শাহবাগ থানা এতোক্ষণ আস্ত থাকত না।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।

আশরাফুল আলম তার স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘সমাজের কিছু মানুষ, সবকিছুতেই মাঝপথ দিয়ে চলেন। জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার ভয়ে, সত্যকে সত্য বলেন না, মিথ্যা’কে মিথ্যা বলেন না। নিজের ছাড়া, ওনারা জাতির কি উপকারে আসেন জানি না। ‘যাহা সত্য-তাহা সত্য, যাহা মিথ্যা-তাহা মিথ্যা। সত্য-মিথ্যার মাঝখানে কিছু নেই। কিন্তু, নিরপেক্ষ ভাব নেওয়ার জন্য, এর মধ্যে তারা একটা ধূসর লাইন খুঁজে বেড়ান, দুইপক্ষকেই খুশি করার জন্য। যদিও, এটা কোনো টেকসই পদ্ধতি না।’

প্রধানমন্ত্রী সাবেক এই উপপ্রেস সচিব লিখেন, ‘পরকীয়া প্রেমের জের ধরে তিনজন জলজ্যান্ত মানুষকে থানায় ধরে নিয়ে কুকুরের মতো পিটাল, দুজনের ভবিষ্যৎ জীবন অন্ধকার করে দিল, এরপরও তারা বলেন, আসলে কে দোষী তা এখনই নয়, তদন্তের পর বলা যাবে। সত্যিই সেলুকাস, কী বিচিত্র আপনারা!’

আশরাফুল আলম লিখেন, ‘মানলাম, নিষিদ্ধ পুরুষ এডিসি হারুনকে নিজের স্ত্রীর পাশে দেখে আজিজ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, এর প্রতিশোধ কি দুজন তরুণের জীবন পঙ্গু করে দেওয়া? ভবিষ্যৎ জীবন দুর্বিষহ করে তোলা?’

প্রধানমন্ত্রী সাবেক এই উপপ্রেস সচিব লিখেন, ‘আগে হট্টগোল যদি আগে হয়েও থাকে, সেটা থানার বাইরে। ইসিজি-ইটিটি রুমের পর্দার ভেতরে, (ভিডিওতে দেখলাম) সিভিল পোশাকে, এডিসি হারুনকে পেয়ে যদি গায়ে কেউ হাত দিয়ে থাকে, এটার জন্য তিনি মামলা করতে পারতেন। কোনো নাগরিককে ধরে এনে থানায় পেটানোর অধিকার দেশের আইনের কোথাও নেই। এডিসি হারুন যে মার খেয়েছে, তাকে দেখে একবারও কি তা মনে হয়েছে? ছাত্রলীগ মারামারি করতে চাইলে তো এতোক্ষণে শাহবাগ থানা ওখানে আস্ত থাকত না, তারা তিনজন যেতেন না, চার/পাঁচশ ছাত্র নিয়ে যেতেন।’

আশরাফুল আলম লিখেন, ‘এক শেয়ালের লেজ কাটা গেছে, এখন সবার লেজ কাটতে হবে। মিডিয়াকে ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী সেই অপচেষ্টাই করে যাচ্ছে। কে প্রথমে হট্টগোল তৈরি করেছে, এটা প্রতিষ্ঠিত করে যারা শাহবাগ থানার পৈশাচিক ঘটনাকে জায়েজ করতে চাচ্ছেন, তারা এডিসি হারুনের মতোই অপরাধী।’

প্রধানমন্ত্রী সাবেক এই উপপ্রেস সচিব লিখেন, ‘আরেকটি কথা, তদন্ত কমিটিতে যারা সদস্য তারা শুধু পুলিশ ক্যাডারের, কমিটিতে অ্যাডমিন ক্যাডার এবং ছাত্রলীগকেও রাখা উচিত। কারণ, ঘটনার সঙ্গে তিনটা পক্ষ জড়িত। নয়তো রিপোর্ট একতরফাই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’

এর আগে নারী পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদা আফরিনের দেওয়া সাক্ষাৎকার নিয়েও স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের সঙ্গে পুলিশের রমনা বিভাগের বরখাস্ত এডিসি হারুন অর রশিদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত শনিবার রাতে ছাত্রলীগের ২ নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করা হয়।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শাহবাগ থানায় ওসির (তদন্ত) কক্ষে এই মারধরে নেতৃত্ব দেন এডিসি হারুন। তবে ঘটনার সূত্রপাত হয় বারডেম হাসপাতালে। সেখানে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ছাত্রলীগ নেতাদের থানায় নিয়ে মারধর করা হয়।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর