রবিবার, ৫ মে, ২০২৪ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা খেলা

শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে ফাইনালের আশা শেষ বাংলাদেশের


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১১:৩৪ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

এশিয়া কাপের ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না। সেই বোলারদের নৈপুণ্যে শ্রীলঙ্কার রানটা নাগালের ভেতরেই রেখেছিল বাংলাদেশ। তবে আরেকবার ভালো শুরুর পরও ব্যাটারদের ব্যর্থতার মিছিল। যার ফলে অধরা জয়টা আর ধরা দিল না।

শ্রীলংকার কাছে হার দিয়ে এশিয়া কাপ স্বপ্নের প্রায় সমাপ্তি ঘটলো টাইগারদের।

আজ শনিবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রানের পুঁজি গড়ে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ভালো শুরুর পরও টানা উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

রান তাড়ায় শুরুতে ইতিবাচক বার্তা দেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। রান মন্থর হলেও আশা জাগান এই জুটি। কিন্তু ৫৫ রানে এই জুটি ভেঙে শ্রীলঙ্কাকে স্বস্তি এনে দেন দাসুন শানাকা।

শ্রীলঙ্কার অধিনায়কের শর্ট লেংথের বলে পুল করতে গিয়ে টাইমিং গড়বড় করেন মিরাজ। ব্যাটে লেগে ক্যাচ চলে যায় মিড উইকেটে। ২৯ বলে ২৮ রানে শেষ হয় মিরাজের ইনিংস।

এরপর নাঈমও বিদায় নেন। যথারীতি ডটবল খেলতে খেলতে উইকেটে খাবি খাচ্ছিলেন নাঈম। শানাকার বল বুঝতেই পারেননি নাঈম। না বুঝে খাড়া উপরে বল তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে। মাত্র ২১ রান নিতে ৪৬ বল খেলেন এই ওপেনার।

এরপর শুধু হতাশাই দেখেছে বাংলাদেশ। উইকেটে এসে টিকতে পারেননি সাকিব আল হাসান (৩)। বিদায় নেন লিটন দাসও (১৫)। মাত্র ৮৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

সেই চাপ কাটাতে জুটি বাধেন মুশফিক ও তাওহিদ। ১১২ বলে ওই জুটিতে আসে ৭২ রান।

বাংলাদেশ যখন প্রতিরোধ গড়েন তখন আবারও শ্রীলঙ্কার ত্রাতা হয়ে আসেন শানাকা। এবার তুলে নেন মুশফিকের উইকেট। ৪৮ বলে ২৯ রান করে বিদায় নেন মুশফিক।

মুশফিকের বিদায়ের পর দলকে একাই টানেন তাওহিদ। কিন্তু তিনি প্রান্ত আগলে রাখলেও সতীর্থদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় জয়হীন থেকেই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে তাওহিদের ব্যাট থেকেই। এক ছক্কা আর ৭টি বাউন্ডারিতে ৯৭বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন তরুণ এই ব্যাটার।

এর আগে টস হেরে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ম্যাচের পঞ্চম ওভারে হাসান মাহমুদকে পরপর দুই বলে চার হাঁকানো পর তৃতীয় বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে। ১৭ বলে তিন চারে ১৮ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

এরপর দাঁড়িয়ে যায় শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় জুটিও। দ্বিতীয় জুটিতে কুশল মেন্ডিস ও নিশাঙ্কা মিলে গড়েন ৭৪ রানের জুটি। ২৩.২তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন শরিফুল।

ওপেনিংয়ে নামা নিশাঙ্কাকে ৪০ রানে এলবির ফাঁদে ফেলেন এই পেসার। এরপর বিদায় করেন মেন্ডিসকেও। তবে ফেরার আগেই হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন মেন্ডিস।

তিন উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আরও দুটি উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। পাঁচে নামা আসালাঙ্কাকে টিকতে দেননি তাসকিন আহমেদ আর ছয়ে নামা ডি সিলভাকে ফেরান হাসান মাহমুদ।

শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে ফাইনালের আশা শেষ বাংলাদেশের

৫ উইকেটের হারানোর পর আরেকটি দারুণ জুটি পায় শ্রীলঙ্কা। ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক দাসুন শানাকা ও সামারাবিক্রমার মিলে উপহার দেন ৬০ রানের জুটি। মাথা ব্যথার কারণ হয়ে ওঠা এই জুটিও ভাঙেন হাসান। ফিরিয়ে দেন লঙ্কান অধিনায়ক শানাকাকে।

ইনিংসের ৪৭তম ওভারে হাসানের ফুললেংথের বলে আগে থেকেই স্কুপ করতে তৈরি থাকা হন বোল্ড। ৩২ বলে করেছেন ২৪ রান করে বিদায় স্বাগতিক অধিনায়ক। তিনি ফেরার পর শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ৯৪ রান তুলে মাঠ ছাড়েন সামারাবিক্রমা।

বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে ৫৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। ৬২ রান দিয়ে তাসকিন আহমেদও নেন তিন উইকেট। শরিফুল দুই উইকেট নিতে দিয়েছেন ৪৮রান।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর