রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩০ আগস্ট, ২০২৩ ১১:০৫ : অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘এখন যারা টর্চ দিয়ে বাংলাদেশে নির্বাচন খুঁজছেন, তারা খালেদা জিয়ার ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচনের সময় কোথায় ছিলেন?’
আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার অবাক লাগে, যখন বিএনপি’র মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনি। যাদের জন্ম হয়েছে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। যাদের যাত্রা শুরু হয়েছে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে। তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির কিছু প্রভু আছে, তারা একই সঙ্গে সুর মিলায় বাংলাদেশে নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। তাদের কাছে প্রশ্ন, জিয়ার হ্যাঁ-না ভোট, খালেদার ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচনের সময় গণতন্ত্র কোথায় ছিল? জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার নির্বাচন তো আমরা দেখেছি। আজ যারা বাংলাদেশে টর্চলাইট দিয়ে নির্বাচন খুঁজছেন, তখন তারা কোথায় ছিলেন? অন্ধ ছিলেন? তখন তো তাদের সোচ্চার দেখিনি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল খুনি মোস্তাক এবং তার দোসর জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকলে, মোস্তাক কখনোই এটা করতে সাহস পেতো না। করতে পারতো না। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়া যে জড়িত ছিল এটা সম্পূর্ণভাবে প্রমাণিত।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ আগস্টের খুনিদের বিচার করা হবে না-এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল। সে খুনিদের শুধু বিচার থেকে রেহাই দেয়া হয়নি, তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। খুনিদের দূতাবাসের চাকরি দেয়া হয়। এই খুনিরা যখন দূতাবাসের চাকরি পায়, অনেক দেশ নেয়নি। এই হত্যাকাণ্ড মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রতিশোধ নেয়া হয়েছিল।’
পাপ কাউকে ছাড়ে না জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘যেভাবে জিয়াউর রহমান জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল, জিয়াকেও একইভাবে খুন হতে হয়েছিল। সেও খুন হয়। তার লাশের কিন্তু খবর নাই। সংসদ ভবনে সেখানে যে কবরটা আছে, সেখানে জিয়াউর রহমানের কোনো লাশ নাই। জেনারেল এরশাদ কিন্তু এই কথাটা বলে গেছে। বলেছিল তার লাশ তো পাওয়া যায়নি। কারণ জিয়ার লাশ খালেদা জিয়া দেখে নাই। জিয়ার লাশ তার ছেলে তারেক রহমান দেখে নাই। কোকো দেখে নাই, তার পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন কেউ দেখে নাই। জেনারেল এরশাদ একটি বাক্স এনে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে সংসদ ভবনের জায়গায় মাটি দিয়ে রেখে দিয়েছে। সেটাও অবৈধ স্থাপনা। বিএনপি নেতা-কর্মীরা সেখানে ফুল দেয়। কাকে দিচ্ছে ফুল তারা কী সেটা জানে? জানে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা তো বিচার চেয়ে পাইনি। শেখ রেহানার পাসপোর্টটা পর্যন্ত জিয়া দেয়নি। রেহানা কি এদেশের নাগরিক ছিল না? তার মানবাধিকার ছিল না?’
খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্ট তো অনেকেরই জন্মদিন। কেউ কি পালন করে? কতো বড় অমানুষ হলে জাতি যেদিন শোক দিবস পালন করে, সেদিন সে জন্মদিন উদযাপন করে! কতোটা অমানবিক হলে শোক দিবসকে জন্মদিন বানিয়ে উৎসব করতে পারে? জিয়ার হাতে আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মী হত্যা হয়েছে। একইভাবে খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় এসে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন করেছে। এখনো মনে পড়লে শিহরিত হতে হয়। অনেককে ধরে কোথায় নিয়ে গেছে কেউ বলতে পারে না।’