রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৯ আগস্ট, ২০২৩ ৫:৪২ : অপরাহ্ণ
‘সাধারণ মানুষের প্রশ্ন-দেশে আসলে হচ্ছেটা কী? সামনে কী হবে? চারদিকে নানান গুজব ও কথা শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এমন প্রশ্ন রাখেন একজন সাংবাদিক।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে হচ্ছে কী, হবে কী, এটার উত্তর কে দেবে? দেশের জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা আসলে কী চায়।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ও ব্রিকস সম্মেলনে যোগদান সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর কোনো চাপে নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধীরা বলছে সরকার চাপে রয়েছে। তাদের ধারণা ভুল। সংবিধান অনুয়ায়ী আগামী নির্বাচন হবে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে কী ভূমিকা নেবেন-একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক বলতে কাদের অংশগ্রহণ? ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট গেনেড হামলাকারীদের অংশগ্রহণ? তারা তো সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে ৩০টি আসন পেয়েছিল। এরপর থেকে তারা কোনো নির্বাচনে আসেনি। তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। জিততে না পারলে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে জনগণের অংশগ্রহণ। জনগণ তো ভোটে অংশগ্রহণ করছেই। নির্বাচনগুলোতে ভোট দিচ্ছে। আগামীতেও ভোট দিতে পারবে। জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই ক্ষমতায় আসবে, এটাই বিশ্বাস করি।’
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মদ ইউনূসকে নিয়ে দেওয়া বিভিন্ন দেশের বিবৃতির বিষয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘ড. ইউনূসের যদি এতোই আত্মবিশ্বাস থাকতো আমি কোনো অপরাধ করিনি, তাহলে তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না। সরকার কোনো বিবৃতিতেই প্রভাবিত হবে না। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী মামলা চলবে।’
আরও পড়ুন: ড. ইউনূস ও নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৬০ বিশ্বনেতার খোলাচিঠি
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা বিবৃতি দিয়ে তার (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) বিচার স্থগিত করতে বলেছেন তাদের বলছি, এ রকম বহু নোবেল বিজয়ী আছেন, যাদের পরবর্তীতে কারাগারেও যেতে হয়েছে। একজন নোবেল জয়ীর বিষয়ে আপনারা এতো উদ্বেগে আছেন। তার অপরাধটা আপনারা দেখেন না। বিবৃতি না দিয়ে আইনজীবী পাঠাক, এক্সপার্টরা দেখুক। তিনি যে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে নিয়ে ব্যবসা করেছেন, সেটি উনি করতে পারেন কিনা সেটি বিবেচনা করবেন না? আমাদের দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। এখানে মামলা প্রত্যাহারের আমি কে?’
বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্যপদ না পাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমবারেই ব্রিকসের সদস্যপদ পাওয়ার চেষ্টা করেনি বাংলাদেশ। ব্রিকসের সদস্য পদ পাওয়া নিয়ে আমাদের কোনো চিন্তাই ছিল না। চাইলে (ব্রিকসের সদস্য পদ) পাবো না, বিষয়টি তেমন নয়। আমরা কাউকে বলিনি, আমাদের সদস্য করো। সবকিছুর একটা নিয়ম আছে। বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না, এটা ঠিক নয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা (ব্রিকস) আমাদের আগে থেকেই জানিয়েছেন, তারা ধাপে ধাপে নেবেন। পরে সদস্য সংখ্যা বাড়াবেন। আমরা জোর দিয়েছি, নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের বিষয়ে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিয়েছি। এবার তারা কিছু সদস্য নেবে সেটাও আমরা জানতাম। এ বিষয়ে আমাদের মতামত চাইলো। আমরা মতামত দিয়েছি। কিন্তু সদস্য হওয়ার চেষ্টা করিনি।’