রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৯ আগস্ট, ২০২৩ ১:০৪ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ নিয়ে দিল্লির কূটনৈতিক বার্তাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করবো, ভারত বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে মর্যাদা দেবে এবং এই দেশে সত্যিকার অর্থেই সব দলের অংশগ্রহণে, সবার সদিচ্ছায় একটি নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যাপারে তারা পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করবে।’
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ডয়েচে ভেলে’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ভারত বলছে, তারা বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় কিন্তু শেখ হাসিনাকে বাইডেন সরকার যেভাবে অস্বস্তিতে ফেলেছে সেটি ভারত প্রত্যাশা করে না। ভারত মনে করছে, এটি বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করবে।’
সাংবাদিকরা এই প্রতিবেদনটির বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা যদি সত্যি হয়ে থাকে; তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের সব সংকটের মূলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মানুষের ওপর যে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে রাষ্ট্রকে দিয়ে, বাংলাদেশে যে একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস গড়ে তোলা হয়েছে এবং বলা যেতে পারে যে, একটা টোটালি ডিপ স্টেট তৈরি করা হয়েছে; সেখানে ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশ যারা গণতন্ত্রের কথা বলে সব সময়, তাদের কাছে এটা অপ্রত্যাশিত, যদি এই নিউজ সত্য হয়ে থাকে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ কথাটা আমরা কখনোই বলতাম না, বলতে বাধ্য হচ্ছি, আমরা দেখতে পাচ্ছি ,যদি এটা সত্য হয়ে থাকে তাহলে তারা বাংলাদেশের রাজনীতির অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে এই মন্তব্যগুলো করছে। আমরা এ কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, বাংলাদেশে কোনো মৌলবাদী দল ক্ষমতায় আসবে তার কোনো সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে দেখা গেছে, কখনোই কোনো মৌলবাদী দল ক্ষমতায় আসতে পারেনি। বরং তাদের যে শক্তি তা দিন দিন ক্ষীয়মাণ হয়ে এসেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মানুষের আস্থার ওপর আস্থা রাখি। আমি মনে করি, ভারত দেখবে, বাংলাদেশের মানুষ কী চায়? বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যদি তারা কোনো পদক্ষেপ নেয় সেটা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক এবং আমরা মনে করি, সেটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য এই অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তার জন্য শুভ হবে না।’