রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা চট্ট-মেট্টো

চট্টগ্রামে পুলিশের লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড, ফাঁকা গুলিতে ছত্রভঙ্গ জামায়াত কর্মীরা


আজ বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর ওয়াসা মোড়ে জামায়াত-শিবির কর্মীদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :১৫ আগস্ট, ২০২৩ ৭:২৯ : অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীতে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশের বাধার কারণে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা জানাজার নামাজ পড়তে পারেননি। পুলিশের লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড, ফাঁকা গুলিতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তারা। এসময় জামায়াতের অন্তত ৪০ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ মাঠ, ওয়াসা মোড়, আলমাস সিনেমা মোড়, কাজীর দেউড়ি ও জিইসি পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।

প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ জামায়াত-শিবিরকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।

আজ আছরের নামাজের পরে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে আল্লামা সাঈদীর গায়েবানা জানাজা পড়ার ঘোষণা দেয় জামায়াত ইসলামী। দুপুর থেকে নগরীর ওয়াসা, কাজীর দেউড়ি, আলমাস মোড়ে জড়ো হতে থাকেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। তবে আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ।

পূর্ব অনুমতি না নেওয়ায় জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীদের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের মাঠে প্রবেশে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় জামায়াত-শিবির কর্মীদের একাংশ আলমাস মোড়ে অবস্থান নেয়। তখন পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের একটি অংশ কাজীর দেউড়ি মোড়ে অবস্থান নিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

অন্যদিকে আলমাস মোড় থেকে ধাওয়া খেয়ে ওয়াসা মোড়ে জড়ো হওয়া জামায়াত-শিবিরকর্মীদের সঙ্গেও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। ধাওয়া দিয়ে জিইসি পর্যন্ত নিয়ে যায়। এ সময় জামায়াত শিবির কর্মীরা সটকে পড়েন।

নগর পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কোনো ধরনের কর্মসূচি, পূর্ব ঘোষণা ও পূর্ব অনুমতি ছাড়া জামায়াত-শিবিরের লোকজন এখানে সমবেত হয়ে নাশকতা করার চেষ্টা করেছে। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের পর হামলা চালিয়েছে। তাই পুলিশ তাদের প্রতিরোধ করেছে।’

নগরের কোতোয়ালী থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন:

বায়তুল মোকাররমে জামায়াতের সঙ্গে পুলিশ ও আ.লীগের সংঘর্ষ

আল্লামা সাঈদীর জানাজায় মানুষের ঢল

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর