রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৭ আগস্ট, ২০২৩ ৮:০৬ : অপরাহ্ণ
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ নিষেধাজ্ঞাকে (স্যাংশন) দুর্নীতি দমনের হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আজ সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকে একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ মিশনস আসাদ আলম সিয়াম ও ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রসচিব সাংবাদিকদের বলেন, নিষেধাজ্ঞা যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে, শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়। নেফিউ বলেছেন যে, বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রমকে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ভবিষ্যতে এটি ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতে পারে। সচিব আরও বলেন, আমরা তাকে সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বলেছি এবং যেসব দেশে অবৈধভাবে অর্থ গেছে তাদের সহায়তা পাওয়ার কথা বলেছি।
অর্থপাচার নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সচিব বলেন, টাকা পাচার দুর্নীতির অংশ। মানি লন্ডারিং নিয়ে আমরা আলাপ করেছি। আমরা বলেছি, যেসব ব্যাংক বা ছোট ছোট আইল্যান্ড কান্ট্রি- সেগুলোতে সহজেই টাকা পাচার ও হুন্ডির মতো বিষয় আছে। এগুলোতে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকা দরকার। সব দেশেই কম-বেশি এ সমস্যা আছে। একটি দেশ বা সংস্থার পক্ষে শতভাগ দুর্নীতি দমন সম্ভব না। তাই বাংলাদেশ সবার সহযোগিতার উপর গুরুত্ব দিয়েছে।
রিচার্ড নেফিউ মার্কিন কূটনীতি এবং বৈদেশিক সহায়তায় দুর্নীতি মোকাবিলায় কাজ করে থাকেন। গত ৫ জুলাই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন তাকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিষয়ক সমন্বয়ক হিসেবে নিযুক্ত করেন। রিচার্ড নেফিউ সরাসরি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট করেন। স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগদানের আগে রিচার্ড নেফিউ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর গ্লোবাল এনার্জি পলিসিতে সিনিয়র ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।
রিচার্ড নেফিউ রোববার থেকে বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। সফরের প্রথম দিনে তিনি দুদকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। সোমবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং দুপুরে তিনি পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন।