রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৬ আগস্ট, ২০২৩ ৩:০৬ : অপরাহ্ণ
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জনগণের শক্তিই আওয়ামী লীগের শক্তি। আওয়ামী লীগের কোনো প্রভু নেই, জনগণই আওয়ামী লীগের প্রভু। আমরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।’
আজ রোববার গণভবনে দলের বিশেষ বর্ধিত সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগই শুধু দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে। এ কারণেই আমরা নির্বাচনের সময় দেশবাসীর কাছে আমাদের অঙ্গীকার করে থাকি। আমরা কতটুকু করতে পেরেছি এবং ভবিষ্যতে কী করব; তা আমরা শুধু জনগণকে বলি, অন্য কাউকে নয়।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই সবাই এটা মাথায় রেখে একসঙ্গে কাজ করবেন।’ এজন্য তার সরকারের ১৪ বছরের অর্জন মানুষের সামনে তুলে ধরতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনাও দেন। একই সঙ্গে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি দলকে শক্তিশালী করতে বলেন এবং জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করার আহ্বান জানান।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার ফলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘ প্রদত্ত উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এজন্য দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে। দেশের মানুষের কাছ থেকে আমি জানতে চাই তারা কি চান, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা নিয়ে এগিয়ে চলুক?‘
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা বাংলাদেশের জনগণকে প্রশ্ন করবেন। কারণ তারাই (জনগণ) ভোটের মালিক। তারা যদি চায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা নিয়ে এগিয়ে যাবে, তাহলে নৌকা মার্কায় আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে হবে। আর আওয়ামী লীগ ভোট পেলেই এটা সম্ভব হবে। তা ছাড়া অন্য কেউ এটা করবে না।’
দেশের কামার, কুমার, তাঁতি, জেলেসহ সব পেশার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সকলের জন্যই কাজ করব, এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রতিটি মানুষের জন্য কাজ করেছে; এর আগে আর কেউ জনগণের জন্য চিন্তা বা কাজ করেনি। নেতা-কর্মীদের এই বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে ও একই সঙ্গে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।’
সভায় আওয়ামী লীগের প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মী ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি অংশ নেন।
এ ছাড়াও দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, আওয়ামী লীগের জেলা, মহানগর, উপজেলা ও পৌরসভা ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে দলের নেতাদের নির্দেশনা দিতে এ ধরনের সভা করে আওয়ামী লীগ। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৭ সালে ২৩ জুন এ ধরনের সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।