রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩১ জুলাই, ২০২৩ ৭:২৪ : অপরাহ্ণ
বিএনপির গুগলিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বোল্ড আউট হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘গুগলিতে ব্যাটসম্যান যেমন কিছু বুঝে ওঠার আগে বোল্ড আউট হয়ে যায়, বিএনপির ২৮ ও ২৯ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের অবস্থা একই হয়েছে। বিএনপির গুগলিতে আওয়ামী লীগ বোল্ড আউট হয়েছে।’
আজ সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ জনসমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের ছোট ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতেও সরকার ভয় পেয়েছে। তারা যুদ্ধের সাজে সাঁজোয়া যান নিয়ে বিএনপির নিরীহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মামলা করেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষসহ সারাবিশ্ব তা দেখেছে।’
আরও পড়ুন:
ডিবি অফিসে গয়েশ্বরের খাবার খাওয়া নিয়ে যা বললেন কাদের
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আর আমান উল্লাহ আমানের সঙ্গে (গত শনিবার) যে নাটক হয়েছে, সেই নাটকে ওনারা ছোট হননি। ছোট হয়েছো তোমরা। তাদের পায়ের তলে মাটি নেই। এজন্য তারা এমন নাটক করে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:
নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত করার জন্য এই নাটক: আমান
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখনও বলি, জনগণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা দেবেন না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় পালানোরও পথ পাবেন না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের বলেছেন, ‘আপনারা ভয় পাবেন না। আমরা জনগণের সঙ্গে আছি।’ তার মানে কী? তার মানে তারা ভয় পেয়েছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার এতোটা ভীত হয়ে পড়েছে যে, ১ হাজার ২০০ লোককে গ্রেপ্তার করেছে। গত ১৫ বছর এমন করে কি আটকাতে পেরেছে? গ্রেপ্তার করে এবার লাভ হবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার কয়েকটা লোককে বিদেশ থেকে ভাড়া করে এনেছে। একজন নাকি আমেরিকার। উনি কে? তাকে আমেরিকার কেউ চেনে না। গতবারও তাকে আনা হয়েছিল। এভাবে মানুষকে বোকা বানিয়ে আবারও নিজেদের অধীনে নির্বাচন করতে চায়। দুই বার চুরি করে, মানুষকে বোকা বানিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। এখন আবার বলে তাদের অধীনে নির্বাচন হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বার বার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান। এবার আর সেটা হবে না। দেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে আগের মতো নির্বাচন করা যাবে না। দেশের মানুষ এবার জেগে উঠেছে।’
জনসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা বরকতুল্লাহ বুলু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নুল আবদীন ফারুক, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, কামরুজ্জামান রতন, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, রকিবুল ইসলাম বকুল, মীর সরফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী প্রমুখ।