রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৫ জুলাই, ২০২৩ ৩:৩১ : অপরাহ্ণ
আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বিএনপি সংঘাত সৃষ্টি করতে সীমান্ত দিয়ে দেশে অস্ত্র আনছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘অস্ত্রের শক্তি দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়। আমাদে কাছে খবর এসেছে, তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র আনছে। বিএনপি খালি মাঠ পেলে সংঘাত সৃষ্টি করবে। এটা সবাই জানে। সেই প্রস্তুতি তারা নিচ্ছে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনগুলো এবং ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সীমান্তের এপার থেকে খবর পাচ্ছি, অস্ত্র কিনছে তারা (বিএনপি)। চাঁপাইনবাবগঞ্জ তাদের অস্ত্র সরবরাহের একটা ঘাঁটি। আগ্নেয়াস্ত্র এনে মজুত করছে। জনশক্তি তাদের কাছে শক্তি নয়। যারা অস্ত্রশক্তি দিয়ে ক্ষমতায় বসতে চায়, জনশক্তির ওপর তাদের আস্থা থাকার কথা না।’
ভোটের পর কম্বোডিয়ার উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ টেনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক সংবাদ দেখে অনেকে আনন্দিত, কম্বোডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। কম্বোডিয়ায় বিরোধীদল অংশ নেয়নি, সেজন্য নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। এখানেও যদি বিরোধী দল অংশ না নেয়, সেটা কার অপরাধ?’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এতোদিন যার মুখ-চোখ শুকিয়ে শুকিয়ে গিয়েছিল, এখন আবার গলায় পানি এসেছে। ফখরুলের গলায় এখন অনেক পানি৷ দেখতে মনে হয় অনেক ভালো মানুষ, অথচ মুখে এত বিষ! কী বাজে ভাষায় বক্তৃতা করে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের শোকের মাসের কর্মসূচিকে কিছু মিডিয়াও বলছে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি। আমরা বলেছি, নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবো। এখানে পাল্টাপাল্টি হলো কোথায়? পাল্টাপাল্টি হলো কীভাবে?’
আওয়ামী লীগ সংঘাতের পক্ষপাতি নয় জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সংঘাত করে যারা দুর্বল তারা। আমরা সংঘাত করতে যাবো কেন? আমরা তো চাই সংঘাতমুক্ত, শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এটা জাতির কাছে আমাদের প্রতিশ্রুতি।’
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আর হেলায় ফেলায় সময় কাটানোর সুযোগ নেই। নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ নেই। প্রোগ্রাম থাকলে যাবো, অন্য ব্যাপারে মাথা ঘামাবো না, তাহলে হবে না। সতর্ক থাকতে হবে নির্বাচন পর্যন্ত।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ ফারুক খান, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল চৌধুরী, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।