রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২০ জুলাই, ২০২৩ ১০:৩৩ : অপরাহ্ণ
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথরিন কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সোয়া এক ঘণ্টা বৈঠক করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার।
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর টিমোথি ডকেট।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য। গেল এক সপ্তাহে বাংলাদেশের হামলা-মামলা, মৃত্যু ও সরকারি কর্মকর্তাদের রদবদল নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে তারা (যুক্তরাজ্য) দৃষ্টি রাখছে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘নির্বাচন ছয় মাস পরে। কিন্তু ভোট চুরির প্রকল্প অ্যাকটিভলি (সক্রিয়ভাবে) চলছে। এজন্য বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকার ব্যতিত একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এই ভোট চুরির প্রকল্প ভাঙার একমাত্র পথ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। এই আলোচনা এখন সব জয়গায় চলছে। আলোচনায় এগুলো উঠে এসেছে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘গত এক সপ্তাহের প্রেক্ষাপটটা যদি ব্যাখ্যা করি, কত মানুষের মৃত্যু, কতজন আহত-গ্রেপ্তার, কত মামলা, ডিসি পোস্টিং হচ্ছে, পুলিশ অফিসার পোস্টিং হচ্ছে, ইউএনও পোস্টিং হচ্ছে। নির্বাচনে চুরি করার যে প্রকল্প এটা গত এক সপ্তাহ ধরে অব্যাহত আছে।’
এর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বৈঠকে ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে’র তাগাদা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিএনপির প্রতিক্রিয়া কী জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে তাগাদা দেওয়ার অর্থটা কি? কিছুটা লজ্জা-শরম থাকাটা তো দরকার, তাই না। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’
সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় যে সরকারের কথা বিএনপি বলছে তাতে ব্রিটিশ সমর্থন আছে কিনা-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সমর্থন তো শুধু গ্রেট ব্রিটেন না, সারা বিশ্বের প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশে কেন আসছে, কেন বার্তা দিচ্ছে, কেন প্রতিনিধিমূলক, অংশীদারিত্বমূলক, অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলছে? তারা কি অন্য কোনো দেশে যাচ্ছে? সাউথ এশিয়াতে তারা কোথাও তো যাচ্ছে না। কেন আসছে? বাংলাদেশে যে নির্বাচন হয় না এটা কি বলার অপেক্ষা রাখে? তারা যেভাবে কথাগুলো বলছে এটার অর্থই হচ্ছে বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে না। বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিতে পারছে না, জনগণ তাদের সংসদ ও সরকার নির্বাচন করতে পারছে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণতান্ত্রিক দেশগুলো নির্বাচন নিয়ে কথাগুলো বলছে।’
সরকারি দল থেকে বলা হচ্ছে, বিদেশিরা নির্দলীয় সরকারের কোনো কথা বলেননি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হলে তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া হবে না-এটা কে না বুঝে বাংলাদেশে।’
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক, কী কথা হলো?