রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, খুলনা প্রকাশের সময় :১৭ জুলাই, ২০২৩ ৯:৪৪ : অপরাহ্ণ
হিরো আলমকে পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সহ্য করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় একটি নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচনে প্রার্থী কয়েকজন। সেখানে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী হচ্ছেন আরাফাত। আরেকজন নিজে নিজে প্রার্থী হয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সবাই তাকে কমবেশি চেনেন, তার নাম হচ্ছে হিরো আলম। তিনি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি নন। তাকে বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্নভাবে চেনেন। ওই হিরো আলমকে পর্যন্ত তারা (আওয়ামী লীগ) সহ্য করতে পারে না। তিনি আজকে কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রে কোনো ভোটার নেই, প্রার্থীদের যেতে হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের বিখ্যাত সন্ত্রাসীরা, যারা আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র ভাড়া দেয়, আওয়ামী লীগকে পাহারা দেয়, তারা বেচারা হিরো আলমকে তাড়িয়ে দিয়েছে। বাইরে রাস্তায় মাটিতে ফেলে তাকে পিটিয়েছে বেধড়ক। সে এখন হাসপাতালে। কিছুক্ষণ আগে সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।’
আজ সোমবার বিকেলে খুলনায় ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খুলনার নগরীর ডাকবাংলো মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্বরে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, বাকস্বাধীনতা, নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা এবং মেধাভিত্তিক কর্মসংস্থানের দাবিতে খুলনা বিভাগীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদল এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন হবে না। যারা হিরো আলমকেই কোনো রকম প্রোটেকশন (নিরাপত্তা) দিতে পারে না, এদের দিয়ে কোনো নির্বাচন হবে না।’
আরও পড়ুন: ভোটকেন্দ্রে হিরো আলমকে মারধর
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। ন্যাড়া বারবার বেল তলায় যায় না, একবারই যায়। শিয়ালের কাছে কেউ মুরগি বর্গা দেয় না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বলেছি, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এই মুহূর্তে পদত্যাগ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে শেষ করে দিয়েছে। দয়া করে সময় নষ্ট না করে পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। দফা এক, দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন হবে না। যারা হিরো আলমকে কোনো রকম প্রোটেকশন দিতে পারে না। এদের দিয়ে কোনো নির্বাচন হবে না। তাই আমরা বলেছি নির্বাচন কমিশন বদলাতে হবে। যারা যোগ্য তাদের আনতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নতুন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে। যে পার্লামেন্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের দেশ সংস্কারের ৩১ দফার ভিত্তিতে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।’
তরুণদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই তরুণদের অনেক অনেক দায়িত্ব। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে যত পরিবর্তন হয়, তার সামনে থাকে তরুনরা। তারাই সামনের দিকে এগিয়ে যায়, তারাই সংগ্রামে যাই, তারাই প্রাণ দেয়, তারই কর্তৃত্ব অর্জন করে নেয়। আমাদের এই আন্দোলনে ১৭ জন প্রাণ দিয়েছে। আমরা সেই সব তরুণকে স্মরণ করি।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।