আফগানিস্তানকে ছয় উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করলো বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে দুই উইকেটে আফগানদের পরাজিত করেছিল সাকিব বাহিনী।
রশিদ-নবীদের হোয়াইট ওয়াশ করার মাধ্যমে চলতি বছরে টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব গড়লো বাংলাদেশ।
আজ রোববার সিলেট আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃষ্টি বিঘ্নিত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সফরকারী আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ১৭ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১১৯ সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। চার উইকেট হারিয়ে ২-০ তে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের ছুড়েঁ দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। দৃষ্টিনন্দন সব শটে ফারুকী ও ওয়াফদারকে সীমানা ছাড়া করেন। মাত্র পাঁচ ওভারেই ৫০ রানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
দলীয় ৬৭ রানে বাংলাদেশের উপর জোড়া আঘাত হানেন মুজিব। লিটন দাসকে (৩৫) রশিদ খানের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত করেন। এক বল পরেই আরেক ওপেনার আফিফকে (২৪) আউট করেন মুজিব।
নাজমুল হাসান শান্ত আউট হলে বাংলাদেশ কিছুটা চাপে পড়ে যায়। তবে গত ম্যাচের নায়ক তাওহীদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান বাংলাদেশকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যায়।
আফগান পেসার ওমরজাইকে ছক্কা হাঁকানোর পরের বলে আবারও ছক্কা মারতে গিয়ে মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দেন হৃদয়। আউটের আগে ১ ছক্কাও চারে (১৯) করেন। সাকিব (১৮) এবং শামীম (৭) অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। আফগানিস্তানের পক্ষে মুজিব ও ওমরজাই ২টি উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ বলেই থার্ডম্যানের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান আফগান ওপেনার রাহামানুল্লাহ গুরবাজ। পরের বলে আবারও ছক্কা মারতে গিয়ে তাসকিনের হাতেই তালুবন্দি হন আফগান মারকুটে ওপেনার। মাত্র (৮) করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে আরেক ওপেনার জাজাইকে (৪) ফিরিয়ে জোড়া আঘাত হানেন তাসকিন।
দুই উইকেট হারানো আফগানিস্তানের হাল ধরেন মোহাম্মদ নবী ও ইব্রাহিম জাদরান। তবে বৃষ্টির পর খেলা হলে আগের ম্যাচের ফিফটি করা মোহাম্মদ নবীকে (১৬) ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। পরের ওভারেই ইব্রাহিম জাদরানের (২২) উইকেট তুলে নেন অধিনায়ক সাকিব।
একই ওভারের শেষ বলে নাজিবুল্লাহ জাদরানকেও (৫) ফেরান এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
আফগান অলরাউন্ডার ওমরজাই ও করিম জানাত ৪২ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেন। ওমরজাই (২৫) মুস্তাফিজুরের শিকার হয়ে ফেরেন। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন সর্বোচ্চ ৩টি এবং মুস্তাফিজ, সাকিব ২টি করে উইকেট শিকার করেন।