রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১২ জুলাই, ২০২৩ ১২:১৯ : অপরাহ্ণ
ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ আজ। দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে এ সমাবেশ শুরু হবে। ইতিমধ্যে সমাবেশের জন্য ছয়টি ট্রাক দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে অস্থায়ী মঞ্চ। নির্ধারিত সময়ের আগেই দূর দূরান্ত থেকে সমাবেশস্থলে ছুটে আসছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সমাবেশে অংশ নিতে সকাল ৯টা থেকে নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছেন বিএনপি ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের মৎস্যভবনসহ নয়াপল্টনের বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়েছেন।
এদিকে ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হচ্ছেন।
এসময় খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তুলেন তারা। এছাড়া নেতা-কর্মীরা মাথায় বিভিন্ন রঙের ক্যাপ এবং জাতীয় পতাকা নিয়ে সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন।
এদিকে সমাবেশ ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কার্যালয়ের আশপাশে সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সমাবেশের ব্যানারে লেখা হয়েছে ‘গণতন্ত্রের ঘাতক, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও সর্বনাশা অনাচারে লিপ্ত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণআন্দোলনের একদফা যৌথ ঘোষণা’।
এদিকে একইদিনে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেইটে আওয়ামী লীগও সমাবেশ ডাকায় কয়েকটি স্থানে টানটান উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তাই নিজেদের দলীয় কার্যালয়ের সামনের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে শেষ করতে বেশি নজর বিএনপির।
নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি। কেন্দ্রীয়ভাবে গঠন করা হয়েছে শৃঙ্খলা কমিটি। তারা বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
ইতোমধ্যে সমাবেশে আসা জেলা বা ইউনিটের নেতাকর্মীরা কোথায় অবস্থান করবেন, তা চূড়ান্ত করে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো নেতা কোথায় থাকবেন তা মঙ্গলবার রাতেই চূড়ান্ত করা হয়েছে।
একদফা ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত কোনো নেতা-কর্মী সমাবেশস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না বলে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আজকের সমাবেশ থেকে যুগপৎ আন্দোলনের একদফা ও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা আসবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ-বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীতে উত্তাপ