রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৬ জুলাই, ২০২৩ ১১:৩১ : অপরাহ্ণ
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রেও অনেক ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র আগে নিজ দেশের মানবাধিকার নিয়ে চিন্তা করুক।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘বাংলাদেশ এতো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, এটা কি মানবাধিকার নয়?’
আজ বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন তাদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে মানবাধিকারের খোঁজে আসে অনেকে। আমার প্রশ্ন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর যেভাবে হত্যা, নির্যাতন ধর্ষণ হয়েছিল তখন সেই মানবাধিকার ফেরিওয়ালারা কোথায় ছিল? তারা কেন চুপ ছিল? তাদের মুখে কেন কথা ছিল না?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশি- বিদেশি সকলের বেলায় আমি বলবো। অনেকে আছেন আমাদের ছবক দেন। মানবাধিকার শেখান। মানবাধিকার বঞ্চিত তো আমরা। যারা খুনিদের ইনডেমনিটি দিয়ে রক্ষা করে, আজ তাদের কথা শুনে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা, অনেক দেশ দেখি মানবাধিকারের কথা ওঠায়। আমরাই তো মানবাধিকার বঞ্চিত ছিলাম। ৩৫ বছর লেগেছে বাবা-মার হত্যার বিচার করতে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই যারা বলেন, তারা ২০০১ দেখেননি? ১৫ আগস্ট দেখেননি? ১৫ আগস্ট থেকে আওয়ামী লীগ সরকার আসা পর্যন্ত এ দেশে কী ছিল দেখেননি? তখন তারা চোখেও দেখেননি, কানেও শুনেননি কী কারণে- তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। মানবাধিকারের কথা বলে- আজকে রোহিঙ্গারা যখন নির্যাতিত হচ্ছিল, ধর্ষণের শিকার হচ্ছিল, তখন আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। আমরা মানবিক কারণে এতগুলো মানুষের দায়িত্ব নিয়েছি। এর থেকে মানবাধিকার সংরক্ষণ আর কী হতে পারে, সেটাই আমার প্রশ্ন?’
আওয়ামী লীগের আমলে সব নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে। সেটা আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি। মাত্র সিটি করপোরেশন নির্বাচন হলো। এই নির্বাচন নিয়ে কেউ একটি প্রশ্ন তুলতে পেরেছে? এতো শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাংলাদেশে আগে কখনও হয়েছে?’