রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩ জুলাই, ২০২৩ ৯:৪৬ : পূর্বাহ্ণ
কোথাও হাজার, কোথাও বারশ। কোথাও ২০ টাকায় ৮ পিস, আড়াই টাকায় একটা আবার কোথাও ২০ টাকার কাঁচা মরিচ দিচ্ছিলেন না খুচরা বিক্রেতারা। কদিন ধরে কাঁচা মরিচ নিয়ে এমনই লঙ্কাকাণ্ড চলছে দেশে।
১০ দিন আগে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি হয়েছে। এর পর ঈদ এবং তার পর সেই মরিচই বেড়ে হলো হাজার-বারশ।
তবে কেন মরিচের হঠাৎ এই অস্বাভাবিক উচ্চমূল্য-সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলতে পারেনি।
মরিচ উৎপাদনকারী, পাইকার, আড়তদার, ব্যবসায়ী থেকে খুচরা বিক্রেতা- কেউই বলতে পারেনি এই চড়া মূল্যের কারণ।
ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এবং দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে সরকার ঘোষণা দেয় কাঁচা মরিচ আমদানির। আমদানি শুরু হলেও প্রাথমিক পর্যায়ে তা বাজারে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি।
তবে গতকাল থেকে কাঁচা মরিচের বেশ কয়েকটি বড় চালান ভারতে থেকে দেশে প্রবেশ করায় দাম কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের।
গতকাল রোববার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৬ ট্রাকে আরও প্রায় ৪৫ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ ঢুকেছে দেশে। ঢাকা ও খুলনার তিনটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই কাঁচা মরিচ নিয়ে এসেছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ঘাটতি ও উচ্চমূল্য ঠেকাতে ভারত থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৮৩০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
আজ রাজধানীর বেশ কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজরা ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) ৭৫০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকায়।
অর্থাৎ প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের আজকের পাইকারি মূল্য ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। যা খুচরা বাজারে এসে ভোক্তাদের নিকট পৌঁছাচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। এক পোয়া বা আড়াই শ গ্রাম মরিচ কেনা যাচ্ছে ৬০ টাকায়।
বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে পাইকারি ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, খুব শিগগিরই মরিচের দাম আরও কমে যাবে।