রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩ জুলাই, ২০২৩ ৭:৩১ : অপরাহ্ণ
প্রধামন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই বলছি, আপনাকে আর প্রয়োজন নাই। গত ১৪-১৫ বছর ধরে যেভাবে বাংলাদেশের সম্পদকে লুট করে বিদেশে পাচার করেছেন, যেভাবে রাজনৈতিক কর্মীদেরকে হত্যা করেছেন, যেভাবে মিথ্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আটক করে রেখেছেন, তাতে কি আন্দোলন ঠেকানো যাচ্ছে?’
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ খালিদ হাসান জ্যাকীসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কথা খুব পরিষ্কার, অবিলম্বে পদত্যাগ করেন। কারণ যতো দিন যাবে, ততোই দেশ ও মানুষের ক্ষতি হবে। ততোই গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সংসদ বিলুপ্ত করেন। তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকার যে নামেই বলেন না কেনো, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে তাদের হাতে ক্ষমতা দেন। তারা একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন করবে। এটাই একমাত্র পথ, আর কোন পথ নাই। তা না হলে তখন পালানোর পথও খুঁজে পাবেন না। কারণ সময় আর থাকবে না। সময় শেষ হয়ে গেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অবশ্যই বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ নির্বাচন চায়। আর সেই নির্বাচনে ভোট দিতে চায়। সেই নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। কারণ প্রমাণিত হয়ে গেছে, এই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার থাকলে কোন নির্বাচনই সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, আপনি আসুন, দেখুন, এই সাধারণ শ্রমিক, কৃষকরা কী বলেন। আর শুধু কাঁচা মরিচ না, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানিসহ সবকিছুর দাম আপনারা বাড়িয়ে যাচ্ছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দাবি আদায়ে এখন প্রতিরোধ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে। অবিলম্বে তাদের পদত্যগ করতে হবে।’
সমাবেশ শেষে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শান্তিনগর হয়ে আবারও দলের অফিসের সামনে এসে শেষ হয়।