সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে চমক দেখালেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী সিলেট আওয়ামী লীগের ছয়-সাত নেতাকে ডিঙিয়ে দলের মনোনয়ন পেয়ে প্রথম দফা চমক দেখিয়েছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক । এবার ভোটে জিতে তিনি দ্বিতীয় চমক দেখালেন।
আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সিসিক নির্বাচনে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার রাতে সিলেট সিটি করপোরেশনের রির্টানিং কর্মকর্তা বেসরকারিভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
সর্বশেষ ১৯০টি কেন্দ্রের বেসরকারিভাবে পাওয়া ফলাফলে দেখা গেছে-আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন প্রায় ১ লাখ১৮ হাজার ৬১৪ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩২১ ভোট।
৬৮ হাজার ২৯৩ ভোট বেশি পেয়ে আনোয়ারুজ্জামানই সিলেটের নতুন মেয়র নির্বাচিত।
ফলাফল ঘোষণার পর নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নগরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি নগরের মেয়র নয়, সেবক হিসেবে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়। সিসিকের মোট ১৯০ কেন্দ্রে ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫। নির্বাচনে মেয়র পদে আট, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ নগরীতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪৭ শতাংশ।
২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী বদরউদ্দিন কামরান ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন।
২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হননি।