রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরামর্শ ইইউর ৬ এমপির


ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৩ জুন, ২০২৩ ২:০৯ : অপরাহ্ণ

বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরামর্শ দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) চিঠি দিয়েছেন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ছয় সদস্য।

চলতি মাসের ১২ তারিখে লেখা হয় এই চিঠি। চিঠি লেখেন ইভান স্টিফানেক, মাইকেলা সদইরভা, আন্দ্রে কোভাচেভ, কারেন মিলিখার, জেভিয়ার নার্ত এবং হেইদি হাউতুলা।

চিঠিতে তারা আরো অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো ব্যবস্থা নাই। যেখানে জনগণের মত প্রতিফলিত হয়। কারসাজি এবং ভোটারদের অনুপস্থিতি দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

চিঠিতে তারা দাবি করেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান ঘটাতে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে। সেই সাথে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিরও আহ্বান জানান। নির্বাচনে বিএনপিসহ প্রধান বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবি জানান।

চলমান সংকটের টেকসই ও গণতান্ত্রিক সমাধান খুঁজে বের করায় জোর দেয়া হয় চিঠিতে। ইইউ বাংলাদেশের অন্যতম অংশীদার উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয় ইইউকে শুধুমাত্র বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সাথে মানবাধিকার এজেন্ডা নিয়ে অবিরাম সংলাপে থাকাই নয়, বাস্তব ফলাফলও আনতে হবে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী এবং জড়িতদের ইউরোপীয় ইউনিয়ন জোনে প্রবেশের সীমাবদ্ধতার মতো সম্ভাব্য ব্যবস্থা, বা GSP+ প্রণোদনার শর্তগুলির নিয়মিত স্মরণ করিয়ে দেওয়া যার জন্য বাংলাদেশ একটি দরদাতা মূল্যায়ন করা যেতে পারে।

ইইউ পার্লামেন্টের সবচেয়ে বড় এবং পুরোনো গ্রুপ ইপিপি সদস্য স্টেফানেক ইভানের সংসদীয় সহকারী ভেরোনিকা প্রাইসেলোভা চিঠির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএনপিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো দশম জাতীয় নির্বাচন বর্জন করার কারণে সেটি অংশগ্রহণমূলক ছিল না। পরবর্তী তথা ১১তম জাতীয় নির্বাচন মধ্য রাতের নির্বাচন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, যা আগের রাতে সমাপ্ত হয়েছিল। তারই ফলস্বরূপ নির্বাচিত সরকার বাংলাদেশের জনগণের কাছ থেকে সামান্য ম্যান্ডেট পায়নি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হয়েছে।

চিঠিতে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে বর্তমান সরকার ক্ষমতাকে সুসংহত করতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিচারবহির্ভূত হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছে। ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর