বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। তিনি ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিমকে ৫৩ হাজার ৪০৭ ভোটে হারিয়েছেন।
১২৬টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।
আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
এ কর্মকর্তা বলেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশনে ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৪ ভোটার। এর মধ্যে ভোট পড়েছে এক লাখ ৪১ হাজার ৭৫৬টি। হিসাবে অর্ধলাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী। শতকরা ভোট পড়েছে ৫১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।’
এর আগে সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা।
নির্বাচনে মেয়র পদে খোকন সেরনিয়াবাত ও ফয়জুল করীম ছাড়াও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু, টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন, হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান ও হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী হোসেন হাওলাদারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
এছাড়া এই সিটি নির্বাচনে ১১৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪২ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
বরিশাল সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৪ জন। শুরু থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে বরিশাল সিটি নির্বাচন ঢাকার আগারগাঁওয়ের ভবন থেকে পর্যবেক্ষণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।