রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১০ জুন, ২০২৩ ২:৪৬ : অপরাহ্ণ
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ সংসদে ১০ শতাংশ আসনও পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরকারের সংলাপের আহ্বানকে ‘ফাঁদ’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত বছরও ডেকেছে সংলাপের জন্য। ভেবেছিলাম ভালো কিছু একটা হবে। দুইবার প্রতারণার শিকার হয়েছি। তাদের কথা আর কেউ শুনবে না। কারণ অতীতে কথা দিয়ে তারা রাখেনি।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা গৌতম চক্রবর্তীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট।
সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক। আগে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। দুইবার পাতানো নির্বাচন হয়েছে, তৃতীয়বারের মতো আর ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি।
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার দুর্নীতি করছে আর উন্নয়নের কথা বলছে। তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে। আমরা বলছি-গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন হয় না। আজ আন্তর্জাতিকভাবেও সেটা বলা হচ্ছে। বিদেশি পত্রিকা লিখছে বাংলাদেশের অর্থনীতি আন্ডারগ্রাউন্ডে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে যে ঢাকঢোল পিটিয়েছে, যে টাকা খরচ করেছে, এখন সেটা কোথায়? তারা এখন নির্বাচনী ফান্ড তৈরির চেষ্টা করছে। এমনিতেই যেখানে বিমান চলতে পারে না সেখানে এয়ারবাস কেনা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দুর্নীতি হবে, তারা নির্বাচনী ফান্ড তৈরি করবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিদ্যুৎ নাই, লোডশেডিং, জ্বালানি নেই, পাওয়ার প্লান্ট নেই। এতো যে ঢোল বাজালো সরকার সেই রিজার্ভ গেলো কই। বিদ্যুৎ বিলের বাড়তি বোঝার টাকা গেলো কোথায়? সব কিছুর মূল হচ্ছে চুরি। বাংলাদেশকে প্রচণ্ড রকমের ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে সরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, যে বিমান চলতেই পারছে না, তারা নাকি এয়ারবাস কিনতে চাইছে। বোয়িং বাদ দিয়ে এয়ার বাস কেনার মূল কারণ হচ্ছে কমিশনের জন্য। তারা নির্বাচনী ফান্ড তৈরি করবে।