রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৮ জুন, ২০২৩ ৫:১৩ : অপরাহ্ণ
পাবনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর পুলিশের সামনে হামলা করেছে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এতে জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা শহরের বড় ব্রিজের পাশে আব্দুল হামিদ রোডের লতিফ টাওয়ার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
দেশে ‘অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎখাতে ব্যাপক দুর্নীতি’র প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বিএনপির অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে তাদের ওপর এই হামলা হয়।
এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে।
বিএনপির নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গোপালপুরস্থ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের পাওয়ার হাউজ পাড়াস্থ বিদ্যুৎ অফিসে দিকে রওনা হয়। কিন্তু পথে বড় ব্রিজের মাথায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বাকবিতন্ডা হয়। পরে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে নেতাকর্মীরা শান্ত হয়। তারা বড় ব্রিজের পাশে ঘোড়া স্ট্যান্ডে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
এদিকে একই সময়ে পাবনা জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেলের নেতৃত্বে যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান নেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশ শেষে ফেরার পথে লতিফ টাওয়ার সামনে এলে ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান নেয়া যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
বিএনপির নেতাকর্মীরা পাশের লতিফ টাওয়ার মার্কেটে আশ্রয় নিলে সেখানেও যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
এসময় শহরজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। হামলার সময় পুলিশ ও ডিবির বিপুল পরিমাণ সদস্য উপস্থিত থাকলেও তাদের কোনও ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি।
এবিষয়ে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টু বলেন, আমরা শান্তিপুর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতেই নারকীয় হামলা চালানো হয়েছে। এতে আমাদের জেলা আহবায়কসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমাদের নেতা-কর্মীরা দোকানপাটে লুকিয়ে পড়লে সেখানে তাদের উপর হামলা চালানো হয়।
হামলা করার বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল বলেন, আমাদেরও শান্তিসমাবেশ চলছিল। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে আসার পথে নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করেছে মাত্র। বিরোধী কারোর ওপর হামলা চালানোর নির্দেশনা নাই।
এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ডি,এম, হাসিবুল বেনজীর বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের সমাবেশ করছিল। পাশ দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা যাওয়ার সময় একটা হট্টগোল হয়েছে। কোনও হামলা হয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই। আমরা তদন্তের পর জানাতে পারবো।