মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪ | ৩১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৫ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা দেশজুড়ে

‘ভোট ডাকাতি’ করে চেয়ারম্যান বানিয়েছি, যুবলীগ নেতার ভিডিও ভাইরাল


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৮ জুন, ২০২৩ ১২:১২ : অপরাহ্ণ
হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী
Rajnitisangbad Facebook Page

বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কক্সবাজার শহরের ৮টি ভোটকেন্দ্রে ‘ভোট ডাকাতি’ করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কায়সারুল হক জুয়েলের জয় নিশ্চিত করেছিলেন বলে দাবি করেছেন হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী মাহবুবুর রহমানের সমর্থনে আয়োজিত এক সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

তার বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে পুরো কক্সবাজারে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে শহরের তারাবনিয়ারছড়ায় এই সভার আয়োজন করা হয়। এতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী ইমরুল কায়েস।

সভায় কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েলকে উদ্দেশ্য করে ইমরুল কায়েস বলেন, বিগত সদর উপজেলা নির্বাচনে আমি কক্সবাজারে ৮টি কেন্দ্র নৌকার পক্ষে ভোট ডাকাতি করেছি। আমি ভোট ডাকাতি না করলে তুমি জুয়েল আজ কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে পারতে না। আমার অবদান জানা না থাকলে তোমার বড় ভাই রাশেদ এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মার্শালের কাছে জেনে নিও।

আরও পড়ুন: মানুষের ভোটের অধিকার আমরাই সুরক্ষা করবো: শেখ হাসিনা

তিনি আরও বলেন, আজ তোমরা সে অবদান ভুলে গিয়েছো। জুয়েল তুমি বড় অকৃতজ্ঞ, অমানুষ। তোমরা নির্বাচিত হলে পৌরবাসীকেও ভুলে যাবে। কারণ আপনারা যে শেখ হাসিনার নাম সাইনবোর্ড ব্যবহার করে চলেন সেই জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আপনারা আজ ভুলে গিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী জানিয়েছেন, ইমরুল হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকাকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার হাতে নির্যাতিত হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, মসজিদের ইমাম, স্কুলের শিক্ষক, শ্রমিক, জনপ্রতিনিধি এবং দিনমজুর। এবার কক্সবাজার পৌরসভায় এসে বর্তমান সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে বিতর্ক করতে তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন। যেটা সরকার ও দলবিরোধী। এমন বক্তব্যের জন্য তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য, কায়সারুল হক জুয়েল বর্তমান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা একে এম মোজ্জাম্মেল হকের ছোট ছেলে। তার বড় ভাই সদস্য বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মাসেদুল হক রাশেদ দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে নাগরিক কমিটির ব্যানারে কক্সবাজার পৌরসভায় মেয়র পদ নির্বাচন করছেন।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর