শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে গেলো পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র, আরও বাড়বে লোডশেডিং


পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৫ জুন, ২০২৩ ১:৩৭ : অপরাহ্ণ

কয়লার মজুত ফুরিয়ে যাওয়ায় পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।

আজ সোমবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায় দেশের সবচেয়ে বড় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুটি ইউনিট মিলে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। কয়লার অভাবে গত ২৫ মে বন্ধ হয় ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার প্রথম ইউনিট। আজ বন্ধ হলো দ্বিতীয় ইউনিটও। এর ফলে পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হলো দেশের সর্ববৃহৎ এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সমগ্র বরিশাল ও খুলনা এবং ঢাকার কিছু অংশের জন্য বিদ্যুতের নির্ভরযোগ্য উৎস। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওইসব অঞ্চলে চলমান লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বাড়বে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রর বিল বকেয়া ছিল ৩০০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক সময় মতো ডলার ছাড় করতে রাজি না হওয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। গত মাসে চীনা বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে বিপদে পড়ে পায়রা। তখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক তৎপর হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার পর এবারই প্রথমবারের মতো কয়লা সংকটের কারণে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

কয়েকদিন ধরে দেশে আলোচিত ঘটনা সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা বন্ধ হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং পরিস্থিতির মধ্যে পয়রা বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

দেশের কোনো কোনো উপজেলায় মাইকিং করে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রর কয়লা সংকটের বিষয়টি সাধারণ মানুষকে জানানো হয়েছে। এ জন্য বিদ্যুৎ পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে সাধারণ মানুষকে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।

দেশে এখন বিদ্যুতের সর্বোচ্চ দৈনিক চাহিদা প্রায় ১৭ হাজার মেগাওয়াট। তবে প্রতিদিন সরবরাহ হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর