রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩ জুন, ২০২৩ ১০:০৯ : পূর্বাহ্ণ
ভারতের ওডিশা রাজ্যে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৯০০ জনের বেশি।
ট্রেনের ভেতরে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বালেশ্বর স্টেশন থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভি জানায়, চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে কলকাতাগামী বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি লাইনচ্যুত বগির সংঘর্ষ হয়। ফলে করমন্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি ঘটনাস্থলে একটি মালবাহী ট্রেনের বগির ওপর আছড়ে পড়ে। ফলে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
রেল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা জানিয়েছেন, হাওড়া থেকে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেসের অন্তত ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পাশের ট্র্যাকে পড়ে যায়। সে সময় অন্য দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া সুপারফাস্ট ট্রেনটি লাইনচ্যুত বগিগুলোকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। একটি মালবাহী ট্রেনও সেখানে দুর্ঘটনায় পড়ে।
ওডিশার মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা বলেন, আটকে থাকাদের উদ্ধারে ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্স (এনডিআরএফ), ওডিশা ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স, ফায়ার রেসকিউ , ৩০ জন ডাক্তার, ২০০ পুলিশ কর্মী এবং ৬০টি অ্যাম্বুলেন্সকে ঘটনাস্থলে জড়ো করা হয়েছে।
কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনের পক্ষ থেকে শুক্রবার বলা হয়, চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেসে সাধারণত বাংলাদেশিরা চিকিৎসার জন্য যাতায়াত করে থাকেন। ফলে রেল কর্তৃপক্ষ এবং ওডিশা রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে হাইকমিশন। দুর্ঘটনাবিষয়ক তথ্য জানতে বাংলাদেশিদের জন্য একটি হটলাইন (+৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ হোয়াটসঅ্যাপ) নম্বর দিয়েছে উপহাইকমিশন।
এদিকে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লাখ এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।