রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৯ মে, ২০২৩ ১:১৩ : অপরাহ্ণ
রাজধানীর কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তিন মাসের আগাম জামিন পেয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায়।
আজ সোমবার দুপুরে বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এ তথ্য জানান নিপুণ রায়ের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী।
জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী এড. নিতাই রায় চৌধুরী ছাড়াও আরও ছিলেন ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় চৌধুরী ও মিথুন রায় চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট অমিত তালুকদার।
এর আগে, গ্রেপ্তার শঙ্কায় মাথায় ব্যান্ডেজ-হাতে ক্যানুলা নিয়ে হাসপাতাল থেকে সরাসরি হাইকোর্টে আসেন নিপুণ রায়।
তার আইনজীবীরা জানায়, হাইকোর্ট থেকে আবারও হাসপাতালে যাবেন তিনি।
গত ২৬ মে রাজধানীর কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার দায়ের করা মামলায় নিপুণ রায়সহ বিএনপির ১০৮ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন জিনজিরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি এসএম সুমন।
কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, সুমন বাদী হয়ে গত ২৭ মে দুপুরে মামলা করেছেন। এতে নিপুণ রায়কে প্রধান আসামি করে বিএনপির ১০৮ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর এবং নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির ৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত শুক্রবার গুরুতর আহত হয়ে মাথায় ৬টি সেলাই নিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে মামলার খবর পান অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী।
এ সময় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে জিনজিরায় আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা করেছে। হামলাকারীদের আমাদের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিয়ে হটিয়ে দেয়। এ সময় আমাদের নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনতে গেলে তখন আমার মাথায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ইট মারে। আমি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি, আর আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়-এর কোনো ভাষা নেই।