রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, গাজীপুর প্রকাশের সময় :২৫ মে, ২০২৩ ৪:৩১ : অপরাহ্ণ
কোনো প্রকার সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। এখন চলছে ভোট গণনার কার্যক্রম।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৩১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র পদে আটজন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৮ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৫ জন প্রার্থী রয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান (নৌকা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের (টেবিল ঘড়ি) মধ্যে।
এর আগে সকালে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকালে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে।
এসময় সব প্রার্থীই ভোটের পরিবেশ নিয়ে নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানান। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু অনিয়মের অভিযোগ আসতে থাকে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাল ভোট দিতে গিয়ে আটক হয়েছেন এক নৌকার সমর্থক। অনিয়মের জন্য আটক করা হয়েছে আরও দু’জনকে।
আরও পড়ুন: গোপনকক্ষে জোর করে নৌকা প্রতীকে ভোট নেয়ার অভিযোগ
বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নৌকা ও ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো এজেন্টকে থাকতে দেয়া হয়নি। এসময় অনেক ভোটকেন্দ্র ফাঁকা দেখা যায়।
বেলা ২টার দিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অন্তত ২০টি কেন্দ্রে ১০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম যথাযথভাবে কাজ না করার খবর পাওয়া গেছে। তাই ভোট গ্রহণেও বিলম্ব হয়।
সকালে নিজেদের ভোট প্রদান শেষে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান ও স্বতন্ত্র টেবিল ঘড়ি প্রতীকের জায়েদা খাতুন দুইজনই নির্বাচনে বিজয়ী হবেন বলে গণমাধ্যমকে জানান।
এসময় জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইভিএম টেম্পারিং ও কোনো ধরণের কারচুপি হলে গাজীপুরের বাসিন্দাসহ দেশবাসী ফলাফল মেনে নেবে না।
আরও পড়ুন: হঠাৎ দুবাই যাওয়ার বিমান টিকিট কাটলেন জাহাঙ্গীর