রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :২৩ মে, ২০২৩ ১০:৪৫ : পূর্বাহ্ণ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী পিস্তল হাতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেছেন। মিছিলের সামনে পুলিশও ছিল।
গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে তার নেতৃত্বে এই মিছিল বের হয়। মিছিলটি বাঁশখালী উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’ দেওয়ার প্রতিবাদে এই মিছিল বের করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিছিলের সামনে পিস্তল হাতে এমপি মোস্তাফিজকে দেখে পথচারী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষোভ মিছিলের ৩ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ‘মোস্তাফিজুর রহমান এমপি’ নামের একটি ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, মিছিলে ব্যানারের সামনে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। মিছিল চলাকালে হাত ব্যাগ থেকে পিস্তল বের করতে দেখা যায় তাকে। ব্যাগটি বাঁশখালী উপজেলা ওলামা লীগের সভাপতি আকতার হোসাইনকে দিয়ে তিনি পিস্তল নিয়ে হাঁটতে থাকেন। এসময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য মিছিলের সামনে থেকে লোকজন ও গাড়ি সরিয়ে দেন।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
বাঁশখালী থানার ওসি কামাল উদ্দিন বলেন, আমি ওই সময় সেখানে ছিলাম না।
মিছিলে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, পৌর মেয়র তোফায়েল বিন হোসাইন, চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, কালীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ ন ম শাহদাত আলম, বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের এমপি মিছিলে যে অস্ত্রটি প্রদর্শন করেছেন সেটি ওনার লাইসেন্স করা, এটি নিজের নিরাপত্তার জন্য তিনি প্রদর্শন করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতা-কর্মীরা বলেন, আমাদের এমপি সবসময় এমন কিছু করেন, যার মাধ্যমে তিনি নেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। আজকেও তার লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রদর্শন করে তিনি এরকম দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এক সময় ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কর্মকর্তা ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। এরমধ্যে ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হয়ে এখন আছেন দ্বিতীয় মেয়াদে। এমপি হওয়ার পর বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
নিজের গাড়িতে বসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য ও গালাগালি করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তার নির্দেশে স্থানীয় পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সলিমুল হক চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ রয়েছে।